বুধবার, ডিসেম্বর ১১, ২০২৪
প্রচ্ছদইন্টারভিউতারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত

তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বড় ছেলে ও দলটির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দুর্নীতি মামলায় ইন্টারপোলের মাধ্যমে দেশে ফিরিয়ে আনতে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। তারেক রহমানকে ফিরিয়ে আনতে ইন্টারপোলের সহায়তা নেয়ার আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার ৩ নম্বর বিশেষ জজ আদালত এ আবেদন মঞ্জুর করেন। এর আগে দুদকের পক্ষে আইনজীবী মোশারফ হোসেন কাজল আদালতে আবেদন করেন। আবেদনটির ওপর শুনানি গ্রহণ করেন ৩ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক মো. মোজাম্মেল হক।

বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, তারেক রহমান বর্তমানে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে অবস্থান করছেন। তাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে এরইমধ্যে ফৌজদারি কার্যবিধি আইনের সকল পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়েছে।তাতে সফল না হওয়ায় তাকে ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেফতার করে দেশে এনে বিচারের মুখোমুখি করা আবশ্যক।

ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেফতারের আবেদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের আইনজীবী মোশারফ হোসেন কাজল।

শুনানি শেষে দুপুর ২টা ১০ মিনিটে সংশ্লিষ্ট আদালতের বিচারক মো. মোজাম্মেল হক এ আবেদন মঞ্জুর করে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে পরোয়ানাটি জারি করতে নির্দেশ দিয়েছেন।
গত ৯ মে মামলার দশম সাক্ষী সোনালী ব্যাংক ক্যান্টনমেন্ট কর্পোরেট শাখার নির্বাহী অফিসার বিভুতি ভূষণ সরকারের জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়। ২০০৯ সালের ২৬ অক্টোবর ক্যান্টনমেন্ট থানায় এ মামলা করে দুদক। ২০১০ সালের ৬ জুলাই তারেক রহমান ও গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। চার্জশিট দাখিলের ১ বছর পর ২০১১ সালের ৮ আগস্ট এ মামলার অভিযোগ গঠন করেন আদালত। মামলাটিতে এর আগে ৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষ হয়েছে। এরা হলেন, বাদী দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহিম, মামলাটির রেকর্ডিং অফিসার হোসনে আরা বেগম, মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেসটিগেশনের (এফবিআই) এজেন্ট মিস ডেবরা লেপরোভেট, ধোবাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মীর আলীমুজ্জামান, গুলশান থানার ওসি কামাল উদ্দিন, নির্মাণ কনস্ট্রাকশন কোম্পানির চেয়ারপারসন খাদিজা ইসলাম, সপ্তম সাক্ষী পুলিশ কর্মকর্তা মাসুদ করিম, সোনালী ব্যাংকের সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার সৈয়দ এহসানুল হাফিজ ও সাবেক উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. নজরুল ইসলাম।

উল্লেখ্য, টঙ্গীতে প্রস্তাবিত ৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের কাজ পাইয়ে নির্মাণ কন্সট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেডের মালিক খাদিজা ইসলামের কাছ থেকে গিয়াসউদ্দিন আল মামুন ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার ৮৪৩ টাকা নেন। সিঙ্গাপুরে এই টাকা লেনদেন হয়। এরপর মামুন ওই অর্থ সিঙ্গাপুরের ক্যাপিটাল স্ট্রিটের সিটি ব্যাংক এনএতে তার নামের ব্যাংক হিসাবে জমা করেন। এই টাকার মধ্যে তারেক রহমান তিন কোটি ৭৮ লাখ টাকা খরচ করেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে। তারেক রহমান ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর উচ্চ আদালত থেকে অনুমতি নিয়ে বিদেশে চিকিৎসার জন্য যান।বর্তমানে তিনি যুক্তরাজ্যের লন্ডনে অবস্থান করছেন।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ