সুন্দরবনের মান্দারবাড়িয়া এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ছয় বাঘ শিকারি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন কয়রা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) পাঁচ পুলিশ সদস্য। রোববার বিকেল ৪টার দিকে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন, আনসার সানা (৫৫), সিদ্দিক সানা (৪৫), রফিকুল ইসলাম (৩৮), মজিদ গাজী (৩৫), মামুন গাজী (২৫) ও বাপ্পি হোসেন (২০)। তাদের আস্তানায় তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ ৩টি বাঘের চামড়া, অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করেছে। নিহতরা বনদস্যু ইলিয়াস-জাহাঙ্গীর বাহিনীর সদস্য বলেও জানা গেছে। কয়রা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হরেন্দ্র নাথ সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ ঘটনায় তিনি আহত হয়েছেন।
ঘটনা প্রসঙ্গে খুলনা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ত. ম. রোকনুজ্জামান জানান, শনিবার দিনগত রাত ৩টার দিকে খুলনার কয়রা উপজেলার সুন্দরবনের দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়নের চরামুখা গ্রামের গাজীবাড়ি এলাকা থেকে বনদস্যু ইলিয়াস-জাহাঙ্গীর বাহিনীর সাত সদস্যকে আটক করে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছে তিনটি বাঘের চামড়া পাওয়া যায়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা নিজেদের বনদস্যু ইলিয়াস-জাহাঙ্গীর বাহিনীর সদস্য বলে পরিচয় দেয়। তাদের অস্ত্রভাণ্ডার সুন্দরবনের গহীনে রয়েছে বলেও স্বীকার করে।
গোয়েন্দা পুলিশের ওসি রোকনুজ্জামান আরও বলেন, এর প্রেক্ষিতে দুপুরের পর পুলিশ তাদের নিয়ে সুন্দরবনের মান্দারবাড়িয়া খালের উত্তর পাশে পৌঁছালে আস্তানায় লুকিয়ে থাকা অন্য সহযোগিরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এ সময় পুলিশও পাল্টা গুলি বর্ষণ করে। ঘণ্টাব্যাপী বন্দুকযুদ্ধের এক পর্যায়ে ছয় বাঘ শিকারি নিহত হন। ‘ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ৩টি বাঘের চামড়া, ৪টি বিদেশি বন্দুক, একটি বিদেশি পিস্তল, ৭ রাউন্ড বন্দুকের গুলি, ৮ রাউন্ড বন্দুকের গুলির খোসা ও কয়েকটি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করেছে’ যোগ করেন তিনি। এছাড়া এ ঘটনায় আটক নাজমা বেগমকে পুলিশ ছেড়ে দিয়েছে বলে জানা যায়।