শনিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৪
প্রচ্ছদদেশজুড়েখুলনা বিভাগরাকিব হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে ফুঁসে উঠেছে খুলনাবাসী

রাকিব হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে ফুঁসে উঠেছে খুলনাবাসী

মধ্যযুগীয় নির্যাতনে নিহত শিশু রাকিব হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে ফুঁসে উঠেছে খুলনাবাসী। মঙ্গলবার সকাল ৭টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত নগরীর ব্যস্ততম খানজাহান আলী রোড ও সেন্ট্রাল রোডে দফায় দফায় বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করে বিক্ষুব্ধ খুলনাবাসী। এ সময় এ দুই সড়কে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। রাকিব হত্যায় অভিযুক্ত নগরীর টুটপাড়ার শরীফ মোটরসাইকেল গ্যারেজের মালিক শরীফ ও তার সহযোগী মিন্টুর ফাঁসি দাবি করা হয় মিছিল ও বিক্ষোভ থেকে। বিক্ষোভ মিছিলে শিশু রাকিবের একমাত্র বোন রিমি (৮) ও খালা পারুল বেগমসহ সর্বস্তরের নারী, পুরুষ ও শিশুরা অংশ নেয়।

এদিকে সকালে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার নিবাস চন্দ্র মাঝি নির্যাতনে নিহত রাকিবের বাড়িতে এসে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আশ্বাস দিয়ে বলেন, এ ঘটনায় ৩ সদস্যের একটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।

উল্লেখ্য, পৈশাচিক নির্যাতনে শিশু সামিউল আলম রাজনের অকাল মৃত্যুর ক্ষত শুকাতে না শুকাতে সোমবার খুলনায় নিষ্ঠুর নির্যাতনে প্রাণ গেল ১২ বছরের শিশু রাকিবের। এক কর্মস্থান ছেড়ে অন্যস্থানে যোগ দেওয়ার ‘অপরাধে’ নির্মমভাবে প্রাণ দিতে হয়েছে তাকে। মধ্যযুগীয় কায়দায় রাকিবের মলদ্বারে কমপ্রেসার মেশিন বসিয়ে পেটে বাতাস ঢুকিয়ে নির্যাতন করে তাকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে নগরীর টুটপাড়ার শরীফ মোটরসাইকেল গ্যারেজের মালিক শরীফ ও তার সহযোগী মিন্টুর বিরুদ্ধে। রাকিব টুটপাড়া সেন্ট্রাল রোডের দিনমজুর আলম হাওলাদারের ছেলে।

সোমবার বিকেলে নির্যাতনের পর রাত ১২টার দিকে মৃত্যু হয় শিশু শ্রমিক রাকিবের। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, রাকিবের শরীরে অস্বাভাবিক পরিমাণে বাতাস প্রবেশ করানোর কারণে তার নাড়িভুড়ি ছিঁড়ে যায় এবং ফুসফুস ফেটে যায়। এসব ছাড়াও শরীরের বিভিন্ন অর্গান অকেজো হয়ে যাওয়ায় তাকে আর বাঁচানো যায়নি। রাকিবকে নির্যাতনকারী গ্যারেজ মালিক শরীফ ও তার সহযোগী মিন্টুকে সোমবার রাতে গ্রেফতার করে পুলিশ। এছাড়া মঙ্গলবার সকালে ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে মিজান নামের এক স্থানীয় দোকানিকেও আটক করেছে পুলিশ।

  • বিষয়:
  • top
আরও পড়ুন

সর্বশেষ