রবিবার, জুন ২, ২০২৪
প্রচ্ছদজাতীয়বাংলাদেশ মধ্য আয়ের দেশের পর্যায়ে চলে এসেছে : জয়

বাংলাদেশ মধ্য আয়ের দেশের পর্যায়ে চলে এসেছে : জয়

বাংলাদেশ মধ্য আয়ের দেশের পর্যায়ে চলে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। তিনি বলেছেন, এখন মধ্য আয়ের দেশের পর্যায়ে চলে এসেছে বাংলাদেশ। আওয়ামী লীগ সরকার যতদিন থাকবে দেশ এগিয়ে যাবে। এদেশের তরুণরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি)’র মিলনায়তনে এক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এই অনুষ্ঠানে সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ বিভাগের উদ্যোগে দেশে প্রথমবারের মতো সরকারি তথ্য, সেবা ও সৃজনশীল ধারণার উপর উন্নয়নকৃত ৫০০ মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন উদ্বোধন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র ও আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় প্রধান অতিথি হিসেবে অ্যপসগুলোর উদ্বোধন করেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জয় এ সরকারের মেয়াদেই সারাদেশে সাতটি আইটি ভোকেশনাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়ে বলেন, সরকার, দেশ এমনি এমনি চলে না। আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নের গতি এমনি এমনি আসেনি। প্রজাতন্ত্রের প্রতিটি কর্মচারী, কর্মকর্তা, মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী, সংসদ সদস্যদের নিরলস পরিশ্রমে উন্নয়নের এ ধারা অব্যাহত।

তিনি আরও বলেন, গত ১৮ মাসে তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় যতটুকু এগিয়েছে তা কল্পনাতীত। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার কাজে আমাদের কাজ কেবল শুরু হয়েছে। দেশের এক হাজার ইউনিয়ন পরিষদের ফাইবার অপটিক্যাল ক্যাবল স্থাপনের কাজ চলছে। আশা করি এ সরকারের মেয়াদেই দেশের সাড়ে চার হাজার ইউনিয়ন পরিষদকে ফাইবার অপটিক্যাল ক্যাবলের আওতায় নিয়ে আসতে পারবো। প্রশিক্ষণ নেয়া সাড়ে তিন হাজার অ্যাপ ডেভেলপারদের উন্নয়নের ধারায় যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানান জয়। আইসিটি সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন তথ্য ও যোগাযোগ বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

তিনি বলেন, বিগত ছয় বছরে আমরা অনেকদূর এগিয়েছি। যে কারণে গতকাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বাংলাদেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন। এ স্বীকৃতি আমাদের জন্য গর্বের, সাফল্যের। কালিয়াকৈরে হাইটেক পার্ককে কেন্দ্র করে ৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে আন্তর্জাতিক মানের একটি রেলওয়ে স্টেশন গড়ে তোলা হবে বলেও বক্তব্যে জানান প্রতিমন্ত্রী। উদ্বোধন হওয়া ৫০০ মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের মধ্যে রয়েছে, ডেসকো, ডিপিডিসি ও ওয়াসার বিল চেক, বিএসটিআই’র পণ্য ভেরিফেকেশন, এনআরবি’র ই-টিআইএন ও ভ্যাট, নন ভ্যাট পণ্য যাচাই, বাংলাদেশ বিমান ও বাংলাদেশ রেলওয়ের সময়সূচি চেক, বিনিয়োগ বোর্ড ও জয়েন স্টক কোম্পানির রেজিস্ট্রেশন স্ট্যাটাস চেক।

এছাড়াও বঙ্গভবন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, নির্বাচন কমিশন, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, পাবলিক সার্ভিস কমিশন, হাই-টেক পার্কসহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান-সংস্থার অ্যাপস রয়েছে। উন্নয়নকৃত মোবাইল অ্যাপসগুলো BangladeshICTD apps ও আন্তর্জাতিক গুগল প্লে স্টোরে রাখা হবে। সেখান থেকে ব্যবহারকারীরা বিনামূল্যে ডাউনলোড বা ইনস্টল করে নিতে পারবে।  ৫০০ মোবাইল অ্যাপস-এর মধ্যে ৩০০ অ্যাপস সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থাসমূহের তথ্য ও সেবার উপর। বাকি ২০০ অ্যাপস প্রতিযোগিতামূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে পাওয়া সৃজনশীল ধারণার উপর তৈরি হয়েছে। জাতীয় পর্যায়ে ‘মোবাইল অ্যাপস প্রশিক্ষক ও সৃজনশীল অ্যাপস উন্নয়ন’ শীর্ষক কর্মসূচির আওতায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এ অ্যাপসগুলো উন্নয়ন করে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন, কর্মসূচির পরিচালক ও সিসিএর (কন্ট্রোল অফ সার্টিফায়িং অথরিটি) নিয়ন্ত্রক জি ফখরুদ্দিন আহমেদ চৌধুরী। এছাড়াও বক্তব্য দেন কর্মসূচি বাস্তবায়নে সহযোগী প্রতিষ্ঠান ইএটিএল’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ মুবিন খান। অনুষ্ঠানে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, পেশাজীবী, তথ্যপ্রযুক্তিবিদরাও উপস্থিত ছিলেন।

  • বিষয়:
  • top
আরও পড়ুন

সর্বশেষ