শুক্রবার, মে ১৭, ২০২৪
প্রচ্ছদখেলার সময়টানা বৃষ্টিতে থমকে আছে চট্টগ্রাম টেস্ট

টানা বৃষ্টিতে থমকে আছে চট্টগ্রাম টেস্ট

শুক্রবার রাত থেকেই একটানা বৃষ্টি হচ্ছে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে। স্টেডিয়ামে এখনও উপস্থিত হয়নি দুই দলের খেলোয়াড়রা। কাভার দিয়ে পিচ দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। ম্যাচের দায়িত্বে থাকা আম্পায়াররা সকাল সাড়ে ১১টায় মাঠ পরিদর্শনে নামার কথা থাকলেও তারা মাঠ পরিদর্শনে যাননি। গ্রাউন্ডেসর কিউরেটর জানিয়েছেন, বৃষ্টি থেমে গেলেও এক ঘণ্টার আগে মাঠ খেলার উপযোগী করে তোলা সম্ভব নয়। বৃষ্টির কারণে পঞ্চম দিনের প্রথম সেশনের খেলা হয়নি।

এর আগে বৃষ্টিতে ভেসে যায় চট্টগ্রাম টেস্টের চতুর্থ দিনের খেলা। ২৪ জুলাই জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে একটি বলও মাঠে গড়ায়নি। শেষ পর্যন্ত দিনের খেলাই পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের চেয়ে ১৭ রানে পিছিয়ে ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। দুই প্রোটিয়া ওপেনার স্টিয়ান ভ্যান জিল ৩৩ ও ডিন এলগার ২৮ রানে অপরাজিত থেকে তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করেন। ২১.১ ওভার ব্যাট করে বিনা উইকেটে ৬১ রান সংগ্রহ করে প্রোটিয়ারা।

প্রথম ইনিংসে দ. আফ্রিকার করা ২৪৮ রানের জবাবে ১১৬.১ ওভার ব্যাট করে ৩২৬ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। এতে করে প্রোটিয়াদের চেয়ে ৭৮ রান এগিয়ে থাকে স্বাগতিকরা। টাইগারদের হয়ে অর্ধশতক হাঁকান তামিম ইকবাল (৫৭), মাহামুদুল্লাহ রিয়াদ (৬৭) এবং লিটন দাশ (৫০)। ওপেনার ইমরুল কায়েসের ব্যাট থেকে আসে ২৮ রান।

চট্টগ্রাম টেস্টের মধ্য দিয়ে দ. আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্টে সর্বোচ্চ রানের সংগ্রহ গড়ে বাংলাদেশ। অতিথিদের বিপক্ষে দ্বিতীয়বারের মতো লিড নেওয়া বাংলাদেশের আগের সর্বোচ্চ দলীয় স্কোর ছিল ২৫৯ রান। ২০০৮ সালে চট্টগ্রামেই টেস্টে এক ইনিংসে দলীয় এ স্কোর গড়ে টাইগাররা। সে ম্যাচে সফরকারী দল ইনিংস ও ২০৫ রানের জয় পায়। শুধু ইনিংসে সর্বোচ্চ রানই নয়, প্রোটিয়াদের বিপক্ষে এবারই প্রথম এক ইনিংসে একশ ওভারের বেশি ওভার ব্যাটিং করেছে বাংলাদেশ। এর আগে ২০০২ সালে ৮৭.৫ ওভার ব্যাটিং ২৫২ রান  তুলতে পেরেছিল টাইগাররা।

  • বিষয়:
  • top
আরও পড়ুন

সর্বশেষ