ষ্টাফরিপোর্টার (বিডিসময়২৪ডটকম)
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দুর্গে বড় আঘাত হানল বিএনপি। গোপালগঞ্জের পর গাজীপুরকে বলা হতো আওয়ামী লীগের দ্বিতীয় দুর্গ। আর অভ্যন্তরীন কোন্দলে আজ ধংসের ধারপ্রান্তে এই দুর্গো।
জনগণের প্রতি স্থানীয় সংসদ সদস্য ও পৌরসভার মেয়রদের অনিহা বড় কারণ। জানা গেছে, গত সাড়ে চার বছর পর কেন্দ্রের নির্দেশে স্থানীয় এমপিরা জনগণের কাছে ভোট চাইতে গেছেন। আর তাই জনগণও সমীচীন জবাব দিয়েছে ব্যালটের মাধ্যমে।
অতিতে গাজীপুরে সবচেয়ে জনপ্রিয়তা ছিল ১৪ দলের। কিন্তু বর্তমানে এই নির্বাচনের মাধ্যমে প্রমাণ করা হল যে ১৪ দলকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না গাজীপুরের জনগণ। গত ২২ বছরে গাজীপুর শহরের সংসদীয় আসন কিংবা সেখানে স্থানীয় কোন নির্বাচনেও আওয়ামী লীগ পরাজিত হয়নি। কিন্তু এবার গাজীপুরের দুর্গে বড় আঘাতে সব কিছুই পাল্টে দিল বিএনপি।
স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারাই বলছেন, কম ব্যবধানে পরাজয় হলে তা-ও হতো। কিন্তু বড় ব্যবধানের এ পরাজয় সারাদেশে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে চরম হতাশা সৃষ্টি করবে।
এর আগে ২০০৮ সালের আগস্টে চার সিটিতে নির্বাচনে সবগুলোতে হেরেছিল বিএনপি। এর মাত্র তিন মাস পর জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও ভরাডুবি হয়েছিল বিএনপির।
আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, এখনই সতর্ক না হলে আগামী জাতীয় নির্বাচনে দলেরও একই দশা হতে পারে। নেতাদের কেউ কেউ আবার বলছেন, এখন সতর্ক হওয়ার সময় নেই।
গাজীপুর সিটি কপোরেশনের নির্বাচন প্রসঙ্গে যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, জনগণের কাছে দুর্গ বলে কিছুই নেই, জনগণের আস্থা হারালে যে কোনো দুর্গ ভেঙ্গে যেতে পারে। রোববার সকালে সচিবালয় যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
চার সিটিতে পরাজয়ের পর গাজীপুরে জয়ের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিল সরকারি দল। স্থানীয়-কেন্দ্রীয় সব নেতা সর্বশক্তি দিয়ে নির্বাচন মাঠে নেমেছিলেন। তারপরও এমন বিপর্যয়। তবে এ নির্বাচনের প্রভাব অবশ্যই সংসদ নির্বাচনে পড়বে। তার আগে আওয়ামী লীগকে আরও সংগঠিত হতে হবে বলে ইঙ্গিত দিলেন স্থানীয় নেতারা
দীর্ঘ দুই দশক পর গাজীপুরে আওয়ামী লীগের কেনএই বিপর্যয়? কারণ হিসেবে জানা গেছে, জনগণ পরিবর্তনে বিশ্বাসী। তা ছাড়াও এর আগে অনুষ্ঠিত চার সিটি নির্বাচনের ফলাফলের প্রভাব পড়েছে গাজীপুরে। স্থানীয় জনগণ মনে করেন, গাজীপুরের নির্বাচনের এই ফল প্রভাব ফেলবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও।