সোমবার, মে ৬, ২০২৪
প্রচ্ছদশিক্ষাঙ্গনভর্তির জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জারি করা নীতিমালার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট

ভর্তির জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জারি করা নীতিমালার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট

মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জারি করা নীতিমালার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। বুধবার সকালে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আইনজীবী ইউনুস আলী আকন রিট আবেদনটি দায়ের করেন। তিনি বলেন, মেধা তালিকার ভিত্তিতে নয়, পরীক্ষার মাধ্যমেই ভর্তি করাতে হবে। কারণ সরকারের এ নীতিমালা সংবিধানের কয়েকটি ধারার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এর আগে গত ১ জুন মেধা তালিকার ভিত্তিতে কলেজে ভর্তির জন্য নীতিমালা জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এই নীতিমালার ৩.১, ৪.১, ৪.২, ৫.৩, ৯.১, ও ৯.৩ এই ছয়টি ধারার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করেন হলিক্রস, নটর ডেম ও সেন্ট জোসেফ কলেজের তিন অধ্যক্ষ। নীতিমালার ৩.১ ধারায় বলা হয়েছে, ভর্তির জন্য কোনো বাছাই বা ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হবে না। কেবল শিক্ষার্থীদের এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে ভর্তি করা হবে।

৪.১ ধারায় বলা হয়েছে, সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনলাইন অথবা টেলিটকে এসএমএসের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। ৪.২ ধারায় বলা হয়েছে, আবেদন ফি ১৫০ টাকা, একজন শিক্ষার্থী সর্বোচ্চ ৫ কলেজে পছন্দক্রম দিতে পারবে। অনলাইনে একবার আবেদন করতে পারবে। প্রতি কলেজের জন্য আবেদন ফি ১২০ টাকা। ৫.৩ ধারায় বলা হয়েছে, এসএমএস প্রাপ্তির পর মেধাক্রম অনুসারে কলেজের নোটিশ বোর্ড বা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে। কোনো কারণে আসন শূন্য হলে বোর্ডের পছন্দ অনুসারে ২য় মেধাক্রম প্রকাশ করতে হবে। ৯.১ ধারায় বলা হয়েছে, সব কলেজে ভর্তির ক্ষেত্রে এ নীতিমালা প্রযোজ্য হবে। ৯.৩ ধারায় এ নীতিমালা না মানলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শুনানি শেষে সোমবার  আদালত এই তিন কলেজের জন্য নীতিমালার কার্যকারিতা ৬ মাসের জন্য স্থগিত করেন। এছাড়া এ ছয়টি ধারা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়েও চার সপ্তাহের রুল জারি করেন আদালত।

  • বিষয়:
  • top
আরও পড়ুন

সর্বশেষ