ডেস্ক রিপোর্ট (বিডি সময় ২৪ ডটকম)
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি: খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায় শুক্রবার তৃতীয় দিনের মতো পরিবহণ ধর্মঘট চলছে। পরিবহণ সেক্টরে পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের ব্যাপক চাঁদাবাজি, গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি, অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর, শ্রমিক নির্যাতন বন্ধ, পরিবহণ চলাচলে নিরাপত্তা বিধান এবং সড়ক সংস্কারসহ আট দফা দাবিতে ১৮টি পরিবহণ মালিক-শ্রমিক সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত পার্বত্য জেলা পরিবহণ মালিক শ্রমিক সমন্বয় পরিষদ খাগড়াছড়ি জেলায় অনির্দিষ্টকালের এ ধর্মঘটের ডাক দেয়।
পরিবহণ ধর্মঘটের কারণে দূরপাল্লা এবং অভ্যন্তরীণ সব সড়কে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। পরিবহণ ধর্মঘট ডাকা হলেও চলছে না প্রাইভেট ইঞ্জিনচালিত গাড়িও। ধর্মঘটের পক্ষে জেলার বিভিন্ন স্থানে পিকেটিং করছেন পরিবহণ মালিক ও শ্রমিকরা।
জেলার রামগড়ের সোনাইপুল এলাকায় সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শ্রমিকরা রাস্তা অবরোধ করে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে পিকেটিং করেন। খবর পেয়ে পুলিশ এসে শেষ মুহূর্তে পানি ঢেলে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে।
টানা তিন দিনের পরিবহণ ধর্মঘটের কারণে খাগড়াছড়িতে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির পাশাপাশি জনজীবনে দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে।
পুলিশ, বিজিবি ও সেনাবাহিনী কমর্রত এবং সাধারণ মানুষকে পায়ে হেঁটে এবং মোটরসাইকেল, টমটমে ভেঙে ভেঙে গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে। এ ক্ষেত্রে নারী ও শিশুদের কষ্টের শেষ নেই।
ফটিকছড়ির বাগান বাজার এলাকা থেকে ফেনীর উদ্দেশে বাস, সিএনজি চলাচল করলেও বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা।
এদিকে বুধবার বিকেলে খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মো. মাসুদ করীমের সঙ্গে পার্বত্য জেলা পরিবহণ মালিক শ্রমিক সমন্বয় পরিষদের আড়াই ঘণ্টার বৈঠক কোনোরকম সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মো. মাসুদ করিম জানান, পরিবহণ মালিকরা আট দফা দাবি পূরণের কথা বলেছেন। এর মধ্যে অবৈধভাবে চলাচলরত মোটরসাইকেল, মাহিন্দ্র ও সিএনজি চলাচল বন্ধসহ তিন দফা দাবি পূরণের আশ্বাস আমি দিয়েছি। কিন্তু বাকি দাবিগুলো আমার এখতিয়ারে নেই। যে কারণে সমাধানের কোনো আশ্বাস আমি দিতে পারিনি। তাই তারা ধর্মঘট অব্যাহত রাখবেন বলে জানিয়েছেন।
সংগঠনের নেতা এসএম শফি জানান, দাবিগুলো পূরণে সরকারের ঊর্ধ্বতন পর্যায়ের মন্ত্রী বা সরকারি কর্মকর্তার যথাযথ আশ্বাস না পাওয়া পর্যন্ত পরিবহণ ধর্মঘট চলবে।