শনিবার, মে ১৮, ২০২৪
প্রচ্ছদজাতীয়চাঁপাইনবাবগঞ্জের মাহিদুর-আফসারের আমৃত্যু কারাদণ্ড

চাঁপাইনবাবগঞ্জের মাহিদুর-আফসারের আমৃত্যু কারাদণ্ড

মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের মাহিদুর রহমান ও আফসার হোসেন চুটুকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২। তাদের বিরুদ্ধে আনা হত্যা, গণহত্যা, লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোগের তিনটির মধ্যে দু’টি অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এ দণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। অভিযোগ তিনটির মধ্যে এক ও দুই নম্বর অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে এবং তিন নম্বর অভিযোগ গ্রহণ করা হয়নি বলে রায়ে উল্লেখ করেছেন ট্রাইব্যুনাল। একই অভিযোগে দুই আসামি স্বাধীনতার পরেই দালাল আইনে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন এবং তারা দণ্ড ভোগ করায় তিন নম্বর অভিযোগটি গ্রহণ করেননি ট্রাইব্যুনাল। বুধবার একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে শিবগঞ্জ উপজেলায় মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনকারী মাহিদুর-আফসারের মামলার এ রায় ঘোষণা করেন চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের ট্রাইব্যুনাল। বিচারক প্যানেলের অন্য দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. মুজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি শাহীনুর ইসলাম। মোট ১৩৩ পৃষ্ঠার রায়ের সংক্ষিপ্ত অংশ পাঠ করেন ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যান। বেলা ১১টা ১৪ মিনিটে শুরু হয়ে ১৫ মিনিটে রায় দেওয়া শেষ হয়।

শিবগঞ্জ উপজেলার দুর্লভপুর ইউনিয়নের দাদনচক গ্রামের মাহিদুর রহমান ও বিনোদপুর ইউনিয়নের সাতরশিয়া গ্রামের আফসার হোসেন চুটুর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইন’১৯৭৩ এর ৩(২)(এ), ৩(২)(সি), ৩(২)(জি), ৩(২)(আই) এবং  ২০ (২) ধারায় তিনটি অভিযোগ আনা হয়েছিল। এর মধ্যে এক নম্বর অভিযোগে শিবগঞ্জের বিভিন্ন গ্রামের ২৪ জনকে গণহত্যার দায়ে সর্বসম্মতভাবে আমৃত্যু কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন বিচারপতিরা। দুই নম্বর অভিযোগে দুই গ্রামের ৭০টি বাড়িতে লুণ্ঠনের পর অগ্নিসংযোগের দায়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে আরও পাঁচ বছরের কারাদণ্ড পেয়েছেন তারা।

গ্রহণ না করা তিন নম্বর অভিযোগটি ছিল চারজনকে নির্যাতন চালিয়ে হত্যা এবং বিভিন্ন বাড়ি-ঘরে লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোগ করা সংক্রান্ত। এ সম্পর্কে রায়ে ট্রাইব্যুনাল বলেন, আসামিরা একই অভিযোগে স্বাধীনতার পরেই দালাল আইনে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন। তারা দণ্ড ভোগ করেও ফেলেছেন। এরপরও ওই আইনের সংশোধিত আইন বা বর্তমান আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইন’১৯৭৩ অনুসারে এ অভিযোগটি আনায় আমরা তা গ্রহণ করিনি। ট্রাইব্যুনাল বলেন, একই আইনে একই  অভিযোগে কারো দু’বার বিচার হতে পারে না। এর মধ্য দিয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা ব্যর্থতা ও অযোগ্যতার প্রমাণ দিয়েছেন বলেও রায়ের পর্যবেক্ষণে উল্লেখ করেন ট্রাইব্যুনাল।

  • বিষয়:
  • top
আরও পড়ুন

সর্বশেষ