শনিবার, মে ১৮, ২০২৪
প্রচ্ছদজাতীয়বার কাউন্সিল নির্বাচন স্থগিত চেয়ে করা রিটের আদেশ বৃহস্পতিবার

বার কাউন্সিল নির্বাচন স্থগিত চেয়ে করা রিটের আদেশ বৃহস্পতিবার

আইনজীবীদের সনদ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ও আইন পেশার সর্বোচ্চ সংস্থা বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের নির্বাচন স্থগিত চেয়ে করা রিটের শুনানি শেষ হয়েছে। আগামী বৃহস্পতিবার এর আদেশের দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট। বাংলাদেশ বার কাউন্সিল সংশোধনী আইন, ২০০৩ এর ৩ নম্বর ধারাকে কেন অবৈধ এবং সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারির আরজি জানিয়ে গত রোববার  রিট আবেদনটি করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. ইউনূস আলী আকন্দ। রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বার কাউন্সিলের নির্বাচনী তফসিল স্থগিতের আদেশ চান তিনি।

মঙ্গলবার (১৯ মে) বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ রিটের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। রিট আবেদনকারী পক্ষে ড. ইউনূস আলী আকন্দ নিজে ও রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস শুনানিতে অংশ নেন।  বার কাউন্সিলের এবারের নির্বাচনের ভোটগ্রহণের দিন নির্ধারিত রয়েছে আগামী ২৭ মে। প্রথমে এ দিন ধার্য ছিল ২০ মে। এক আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ১২ মে কাউন্সিলের এক জরুরি সভায় ভোটার তালিকায় থাকা কিছু ত্রুটি হালনাগাদ করার জন্য এক সপ্তাহ পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে নির্বাচন।

ভোটার তালিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলামের মেয়ে ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর, সৈয়দ রেজাউর রহমানসহ পাঁচ আইনজীবী নির্বাচন পেছানোর ওই আবেদন জানান। এর আগেও ভোটার তালিকায় ‘অস্পষ্টতা ও একই নাম একাধিকবার’ থাকার কথা জানিয়ে ১০১ জন আইনজীবী গত ২৯ এপ্রিল আলাদাভাবে কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ও সচিবকে চিঠি দেন। বার কাউন্সিল নিজস্ব নথিপত্রের সাহায্য না নিয়ে আইনজীবী সমিতিগুলোর পাঠানো সদস্য তালিকা ধরেই ভোটার তালিকা তৈরি করা হয়েছে বলে চিঠিতে অভিযোগ করা হয়। চিঠিতে বলা হয়, এ ভোটার তালিকা ‘স্বচ্ছভাবে’ হয়নি। কোনো নির্বাচিত সদস্য এ কাজের সঙ্গে ছিলেন বলেও তারা জানেন না।

এ ভোটার তালিকায় আইনজীবীদের তালিকভুক্তির নম্বর ও তারিখ, ভলিউম নম্বর ও সনদের পৃষ্ঠা সংখ্যার কোনো কলাম নেই বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়। এ অবস্থায় ‘জালিয়াতি ঠেকাতে’ তালিকা সংশোধন করে পুনর্প্রকাশের দাবি জানান ১০১ আইনজীবী। ‘অন্যথায় এ নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না। এর দায়ভার আপনার ওপর বর্তাবে, যা কোনোভাবেই আমাদের কাম্য নয়’- বলা হয় চিঠিতে। বার কাউন্সিল নির্বাচনে মোট ১৪ জন সদস্য নির্বাচিত হবেন। এর মধ্যে সারা দেশে সনদপ্রাপ্ত আইনজীবীদের ভোটে সাধারণ আসনে সাতজন এবং দেশের সাতটি অঞ্চলের স্থানীয় আইনজীবী সমিতির সদস্যদের মধ্য থেকে একজন করে আরও সাতজন নির্বাচিত হয়ে আসেন।

এ ১৪ জন সদস্যের ভোটে নির্বাচিত হন বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান। আর অ্যাটর্নি জেনারেল রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা হিসাবে পদাধিকার বলে কাউন্সিলের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন আইনজীবীদের মোর্চা সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ থেকে সাধারণ আসনে ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম, আইনজীবী আবদুল বাসেত মজুমদার, ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ, আইনজীবী  আবদুল মতিন খসরু, পরিমল চন্দ্র গুহ,  জেড আই খান পান্না ও  শ ম রেজাউল করিম প্রার্থী হয়েছেন। বিএনপির নেতৃত্বাধীন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেলে সাধারণ আসনে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুব হোসেন, কাউন্সিলের বর্তমান এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান এ জে মোহাম্মদ আলী, এনরোলমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, ফাইন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান সানাউল্লাহ মিয়া, বদরুদ্দোজা বাদল,  মো. বোরহান উদ্দিন ও মহসিন মিয়া প্রতিন্দ্বন্দ্বিতা করছেন।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ