আইনজীবীদের ত্রুটির কারণেই বিচারপ্রার্থীরা সুবিচার বঞ্চিত হন বলে উল্লেখ করলেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। এছাড়া বিচারপ্রার্থীরা ৬০ থেকে ৭০ ভাগ মামলায় আইনজীবীদের ত্রুটিতে হেরে যান বলেও মন্তব্য করেন তিনি। শনিবার সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির মিলনায়তনে আয়োজিত সেমিনারে এ সব কথা বলেন প্রধান বিচারপতি। ‘আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বার ও বেঞ্চের ভূমিকা’ শীর্ষক এ সেমিনারের আয়োজন করে ‘হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ’ নামের একটি সংগঠন।
প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা বলেন, শুধমাত্র আইনজীবীদের ক্রটির কারণেই ৬০ থেকে ৭০ ভাগ মামলায় বিচারপ্রার্থীরা হেরে যান। মামলা সম্পর্কে বিচারকদের প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেন না অনেক আইনজীবীই। তিনি আরও বলেন, একজন আইনজীবী একজন আর্কিটেকচার (কারিগর)। আইনজীবী মামলার স্টেটমেন্ট এমনভাবে তৈরি করবেন যেন বিচারক প্রশ্ন করলেই উত্তর পাওয়া যায়। বিচার বিভাগে মামলা জট নিয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। অসংখ্য মামলার ভার আমাদের বহন করতে হচ্ছে। এছাড়া ‘সবাই আইনের শাসন চাইলেও বিচার বিভাগের চাহিদা তুলে ধরা হলে বিমাতাসুলভ আচরণ পাওয়া যায়’ বলেও মন্তব্য করেন প্রধান বিচারপতি।
সংগঠনের সভাপতি অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন- সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ইউসুফ হোসেন হুমায়ন, বিচারপতি আওলাদ আলী, বিচারপতি কাজী এবাদুল হক, সিনিয়র আইনজীবী আব্দুল বাসেত মজুমদার প্রমুখ। সেনিমারে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বার ও বেঞ্চের সম্পর্ক উন্নয়নে কয়েক দফা প্রস্তাব তুলে ধরে মূল প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন ব্যারিস্টার মইন ফিরোজী।
