শনিবার, মে ১৮, ২০২৪
প্রচ্ছদজাতীয়জাকার্তায় পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী

জাকার্তায় পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী

ইন্দোনেশিয়ায় অনুষ্ঠেয় আফ্রো-এশীয় শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে জাকার্তায় পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার স্থানীয় সময় বিকেল ৩টা ৩৫ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় বেলা ২টা ৩৫ মিনিটে) প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের ভিভিআইপি ফ্লাইটটি জাকার্তার সুকর্নো-হাত্তা বিমানবন্দরে অবতরণ করে। সুকর্নো-হাত্তায় নামার পর প্রধানমন্ত্রীকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়। পাশাপাশি তাকে স্ট্যাটিক গার্ড অব অনার দেয় সুসজ্জিত উর্দিধারীরা। এছাড়া, ইন্দোনেশিয়ার ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে মেয়েরা পতাকা ও ফুল নেড়ে তাকে শুভেচ্ছা জানায়।

বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান ইন্দোনেশিয়ার বন ও পরিবেশমন্ত্রী নুরবায়া বাকের। এ সময় বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী, পররাষ্ট্রসচিব মো. শহীদুল হক, ইন্দোনেশিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নাজমুল কাওনাইন, ঢাকায় নিযুক্ত ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত ভিরান্তা আতমাদজা উপস্থিত ছিলেন। পরে বিমানবন্দর থেকে প্রধানমন্ত্রীর গাড়ির বহর যায় জাকার্তার হোটেল বরোবুদুরে। সফরকালে এখানেই অবস্থান করবেন প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীরা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী তার সম্মানে জাকার্তায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নাজমুল কাওনাইন ও তার স্ত্রী সৈয়দা মুশতারী কাওনাইনের দেওয়া স্বাগত নৈশভোজে অংশ নেবেন। ২২, ২৩ ও ২৪ এপ্রিল অনুষ্ঠেয় আফ্রো-এশীয় শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে আবারও শান্তি, নিরাপত্তা ও অংশগ্রহণমূলক টেকসই উন্নয়নের পক্ষে কথা বলবেন। সোচ্চার হবেন জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতেও। এর আগে, মঙ্গলবার ‍বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী ভিভিআইপি ফ্লাইটটি জার্কাতার উদ্দেশে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে যায়। ফ্লাইটে চেপে বসার আগে বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান মন্ত্রিসভার সদস্যরা।

 মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রদূতের স্বাগত নৈশভোজে অংশ নেওয়ার পরদিন বুধবার (২২ এপ্রিল) সকালে আফ্রো-এশীয় শীর্ষ সম্মেলনস্থল জাকার্তা কনভেনশন সেন্টারে (জিসিসি) পৌঁছাবেন শেখ হাসিনা। সেখানে পৌঁছানোর পর তার সঙ্গে কুশলাদি ও শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন ইন্দোনেশিয়ান প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো। এরপর সম্মেলনে যোগদানকারী বিশ্বনেতাদের সঙ্গে ফটোসেশনে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী।

সকাল পৌনে ১০টার দিকে সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হলে তাতে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। এর ফাঁকে সোয়া ১০টার মধ্যে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন তিনি। তার সঙ্গে বৈঠকের পর আবারও সম্মেলনের মূল অধিবেশনে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর দুপুরের খাবার গ্রহণ শেষে বেলা আড়াইটার পর শেখ হাসিনা সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী লি শিয়েন লুংয়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন। বিকেল ৩টার পর তিনি বৈঠক করবেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনঝো আবের সঙ্গে। এর পরপরই বৈঠক করবেন মায়ানমারের প্রেসিডেন্ট থিন সেইনের সঙ্গে । ২২ এপ্রিলের ব্যস্ততা শেষে রাতে ইন্দোনেশিয়ান প্রেসিডেন্টের সৌজন্যে তার বাসভবন ‘ইস্তান নেগারা’য় নৈশভোজে অংশ নেবেন শেখ হাসিনা।

পরদিন ২৩ এপ্রিল সকালে সম্মেলনস্থল জেসিসিতে গিয়ে মূল অধিবেশনে যোগ দেবেন শেখ হাসিনা। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে প্রধানমন্ত্রী ফিলিস্তিনি প্রধানমন্ত্রী রামি হামদাল্লাহর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বসবেন। বেলা সোয়া ১১টার পর তিনি বৈঠক করবেন আয়োজক দেশের প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদোর সঙ্গে এবং সবশেষে দুপুর ১২টায় বৈঠক করবেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী সুশীল কৈরালার সঙ্গে। সম্মেলনের ব্যস্ততা শেষে ২৩ এপ্রিল স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টার দিকে জাকার্তা বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেবেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশের স্থানীয় সময় রাত ১১টায় ঢাকায় অবতরণ করবে শেখ হাসিনাকে বহনকারী ভিভিআইপি ফ্লাইটটি।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ