শনিবার, মে ১৮, ২০২৪
প্রচ্ছদজাতীয়সালাহউদ্দিনকে হাজির করার রুল: অনুসন্ধান অব্যাহত রাখার নির্দেশ

সালাহউদ্দিনকে হাজির করার রুল: অনুসন্ধান অব্যাহত রাখার নির্দেশ

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদকে খুঁজে বের করে হাজির করার নির্দেশ সংক্রান্ত রুলের নিষ্পত্তি করে অনুসন্ধান অব্যাহত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সোমবার পর্যবেক্ষণসহ রুলের নিষ্পত্তি করে দেন বিচারপতি কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী ও বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুরের হাইকোর্ট বেঞ্চ। একই সঙ্গে সালাহউদ্দিনকে খুঁজে বের করতে অনুসন্ধান অব্যাহত রাখতে এবং প্রতি মাসে অনুসন্ধান প্রতিবেদন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দাখিল করতে পুলিশ সদর দফতরকে আদেশ দিয়েছেন আদালত। আবেদনকারী বাদীপক্ষে খন্দকার মাহবুব হোসেন এবং রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মমতাজউদ্দিন ফকির ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশিরউল্লাহ শুনানিতে অংশ নেন।

এর আগে গত ৮ ও ৯ এপ্রিল এবং ১৫ ও ১৬ মার্চ আরও চারদিনের শুনানিতে আবেদনকারী বাদীপক্ষে অংশ নেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ও খন্দকার মাহবুব হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মমতাজউদ্দিন ফকির। ৮ ও ৯ এপ্রিলের শুনানিতে খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, নিখোঁজের আগে সালাহউদ্দিন আহমেদের দু’জন কর্মচারীকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল ৠাব। তাদের কাছ থেকেই ঠিকানা নিয়ে সালাহউদ্দিনকেও ৠাবই তুলে নিয়েছে।

সালাহউদ্দিনকে খুঁজে বের করতে ব্যর্থতা চিহ্নিত করতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠনেরও আরজি জানান খন্দকার মাহবুব। তিনি বলেন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তাকে নিয়ে গেছে। যদি নাও নিয়ে থাকে, তাহলে খুঁজে বের করার দায়িত্ব তাদেরই। খুঁজে পেতে ব্যর্থতা ও কারা কারা ব্যর্থ, সেগুলো চিহ্নিত করতেই বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠনের আরজি জানান তিনি।  অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে অংশ নিয়ে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মমতাজউদ্দিন ফকির বলেন, রুলের সময়সীমা শেষ হয়ে যাওয়ায় এ রুল আর চলতে পারে না।

তিনি বলেন, আদালত যে সময়সীমা  নির্ধারণ করে রুল জারি করেছিলেন, তা শেষ হয়ে গেছে। আমরা (রাষ্ট্রপক্ষ) আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিবেদনের ভিত্তিতে রুলের জবাব দিয়ে দিয়েছি। ফলে রুল আর কার্যকর নেই, এ রুল চলতে পারে না। অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম গত ১৫ মার্চ হাইকোর্টের রুলের জবাবে পাঁচটি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতিবেদন নিয়ে শুনানি করেন। প্রতিবেদনগুলো উপস্থাপন করে তিনি জানিয়েছিলেন, সালাহউদ্দিন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী কোনো বাহিনীর হেফাজতে নেই এবং কোনো বাহিনী তার খোঁজ পায়নি।

অ্যাটর্নি জেনারেলের মাধ্যমে প্রতিবেদন দাখিলকারী পাঁচটি বাহিনী হচ্ছে পুলিশ সদর দফতর, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি), এসবি, র্যাব ও সিআইডি। এগুলোর মধ্যে সালাহউদ্দিন আহমেদের খোঁজ পেতে পুলিশের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়। অন্য চার বাহিনী জানায়, তাদের হেফাজতে সালাহউদ্দিনকে গ্রহণ করা হয়নি।

গত ১২ মার্চ সালাহউদ্দিনকে ১৫ মার্চের মধ্যে কেন খুঁজে বের করে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট বেঞ্চটি। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সালাহউদ্দিনকে হাজিরের নির্দেশনা চেয়ে তার স্ত্রী হাসিনা আহমেদের করা ফৌজদারি আবেদনের শুনানি শেষে এ রুল জারি করা হয়। ওইদিন সকালে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় হাসিনা আহমেদের পক্ষে আবেদনটি দাখিল করেন অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন। তিনি ছাড়াও আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার ও এজে মোহাম্মদ আলী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল। আবেদনে বিবাদী করা হয়েছে স্বরাষ্ট্র সচিব, আইজিপি ও ডিএমপি’র কমিশনারকে।

  • বিষয়:
  • top
আরও পড়ুন

সর্বশেষ