শনিবার, মে ১৮, ২০২৪
প্রচ্ছদজাতীয়শনিবার রাতেই কার্যকর হতে যাচ্ছে কামারুজ্জামানের মৃত্যুদণ্ড

শনিবার রাতেই কার্যকর হতে যাচ্ছে কামারুজ্জামানের মৃত্যুদণ্ড

শনিবার রাতেই কার্যকর হতে যাচ্ছে কামারুজ্জামানের মৃত্যুদণ্ড। মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে তাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হবে। ফাঁসির মধ্য দিয়েই পরিণতি পেতে যাচ্ছে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়ে মানবতাবিরোধী অপরাধের ন্যাক্কারজনক অধ্যায়ে কামারুজ্জামানের সকল কৃতকর্ম। দায়িত্বপ্রাপ্ত একাধিক সূত্র  বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। সূত্র জানিয়েছে, রাষ্ট্রপতির কাছ প্রাণভিক্ষার জন্য প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত নিলেও পরে তা পাল্টে ফেলেন কামারুজ্জামান। ফাঁসির আদেশের পর যৌক্তিক সময় চেয়ে কালক্ষেপণ করতে থাকেন তিনি। পরে  ১০ এপ্রিল তার কাছে আবারও শেষ সিদ্ধান্ত জানতে চাওয়া হয়। এ সময়ই সিদ্ধান্ত জানতে যাওয়া দু’জন ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে কারা কর্তৃপক্ষ  নিশ্চিত হয়, কামারুজ্জামান ক্ষমা চাইছেন না।

তারই ভিত্তিতে এগিয়ে চলে ফাঁসি কার্যকরের প্রক্রিয়া। শনিবার সকালেই উদ্যোগ নেওয়া হয় নির্বাহী আদেশ তৈরির। নির্বাহী আদেশের ফাইল প্রস্তুত করে তা পাঠানো হয় রাজধানী মনিপুরীপাড়ায় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাড়িতে। সেখানে তিনি আদেশের ফাইলে স্বাক্ষর করলে দুপুরে তা চলে যায় কেন্দ্রীয় কারাগারে। সূত্রগুলো জানিয়েছে, এ আদেশের ভিত্তিতে চলছে ফাঁসি কার্যকরের চূড়ান্ত প্রক্রিয়া। তবে তার আগেই কামারুজ্জামানের স্ত্রী-পুত্র-পরিজনকে শেষবারের মতো তার সঙ্গে দেখা করার জন্য ডেকে পাঠিয়েছেন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার কর্তৃপক্ষ। বিকেল চারটা থেকে পাঁচটার মধ্যেই পরিবারের সদস্যদের দেখা করতে বলা হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকেও জানানো হয়েছে, তারা যথাসময়ে কামারুজ্জামানের সঙ্গে দেখা করতে যাবেন।

অবস্থাদৃষ্টে স্পষ্ট হয়ে উঠছে, কামারুজ্জামানের ফাঁসি শনিবার রাতেই কার্যকর হচ্ছে। তবে ঠিক কয়টায় এই ফাঁসি কার্যকর করা হবে তা এখনও নিশ্চিত করে জানা যায়নি। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় শেরপুর জেলার সোহাগপুর গ্রামে ১৬৪ জনকে হত্যা ও নারী নির্যাতনের দায়ে ২০১৩ সালের ৯ মে কামারুজ্জামানকে মৃত্যুদণ্ড দেন ট্রাইব্যুনাল-২। এ রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করা হলে কামারুজ্জামানের ফাঁসির আদেশ বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগের রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হলে গত ৫ মার্চ তা পুনর্বিবেচনার আবেদন করেন কামারুজ্জামান। ৬ এপ্রিল এ আবেদনও খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ। এরপর তার মৃত্যুদণ্ড রোধে একটাই পথ ছিলো রাষ্ট্রপতির ক্ষমা। কামারুজ্জামান প্রাথমিকভাবে সেই ক্ষমা চাওয়ার ব্যাপারে সম্মত থাকলেও, সময়ক্ষেপণ করে পরে সে অবস্থান থেকে সরে যান। তাতেই আর বাধা থাকছে না তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করায়।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ