বাংলাদেশসহ ৭টি দেশের নাগরিকদের ভ্রমণ ভিসায় যুক্তরাজ্য সফরে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ জামানত রাখতে হবে। অবৈধ অভিবাসন কমিয়ে আনতে এমন একটি নিয়ম চালু করতে যাচ্ছে যুক্তরাজ্য সরকার। নতুন এ নিয়ম কার্যকর হলে ওইসব দেশের নাগরিকদের লন্ডন ভ্রমণের আগেই ৩ হাজার পাউন্ড জামানত রাখতে হবে। এ ধরনের পরিকল্পনাকে বৈষম্যমূলক বলে মনে করছেন ব্রিটেনে কর্মরত বাংলাদেশের প্রবাসীরা।
যুক্তরাজ্যে ভিসা পাবার ক্ষেত্রে ব্রিটিশ হাইরিস্ক লিস্টে উঠে এসেছে বাংলাদেশসহ আরো কয়েকটি দেশের নাম। এখন থেকে কোনো বাংলাদেশিকে ভ্রমণ ভিসায় যুক্তরাজ্যে যেতে হলে ভিসা পাওয়ার আগেই সাড়ে ৩ লাখ টাকা জামানত রাখতে হবে। আগামী নভেম্বর থেকেই পরীক্ষামূলকভাবে এই বন্ড ব্যবস্থা কার্যকর হতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়।
এতে করে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা করছেন যুক্তরাজ্যের বাংলাদেশি বিশিষ্টজনেরা। এজন্য বাংলাদেশের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেয়ার তাগিদ দিয়েছেন তারা।
টাওয়ার হ্যামলেটসের মেয়র লুৎফর রহমান বলেন, এই আইন দর্শনার্থীদের বিদেশ ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করবে। ব্রিটিশ সরকার মনে করছে, দর্শনার্থীরা ভ্রমণের পর আর তাদের নিজের দেশে ফিরে যাবেন না, যা ঠিক নয়।
সাপ্তাহিক বাংলা নিউজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুর রব মল্লিক বলেন, ব্রিটিশ সরকার যে ৩ হাজার পাউন্ড জামানত রাখার আইন করেছে, তা অবশ্যই বৈষম্যমূলক। বাংলাদেশ সরকারের তাই শিগগিরই একটি পদক্ষেপ নেয়া উচিৎ বলে তিনি মনে করেন।
দি সোসাইটি অব বাংলাদেশি সলিসিটরস ইউকে’র প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আবুল কালাম বলেন, এই নিয়ম চালু হলে প্রকৃত দর্শনার্থীরা বঞ্চিত হবে। যারা পরিবার নিয়ে বা গ্রুপে বেড়াতে যেতে চান, তাদের জন্য এতো টাকা জামানত রাখা কঠিন হয়ে যাবে।
গত ৬ মাসে প্রায় ১৪ হাজার বাংলাদেশি ইউকে ভিসা পেয়েছেন। তবে তাদের ঠিক কতজন ভিসার মেয়াদের বাইরে ব্রিটেনে অবস্থান করছে সে তথ্য দিতে পারেনি ইউকে হোম অফিস। বাংলাদেশ ছাড়াও যুক্তরাজ্যের হাইরিস্ক লিস্টে থাকা অন্যান্য দেশের মধ্যে রয়েছে ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, নাইজেরিয়া ও ঘানা।