সোমবার, মে ৬, ২০২৪
প্রচ্ছদরাজনীতিযৌক্তিক পরিণতিতে না পৌঁছানো পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে : খালেদা

যৌক্তিক পরিণতিতে না পৌঁছানো পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে : খালেদা

বিএনপি চেয়ারপারসন ও ২০ দলীয় জোট নেত্রী খালেদা জিয়া বলেছেন, যৌক্তিক পরিণতিতে না পৌঁছানো পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। সাহসিকতার মাধ্যমে সবাই আন্দোলনে অংশগ্রহণ করলে আন্দোলন সফল হবে।  শুক্রবার বিকেলে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের ‍রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, সংকট সমাধানের চাবিকাঠি ক্ষমতাসীনদের হাতে। সংকট নিরসনের মাধ্যমে তারা সেই কাঙ্খিত জাতীয় ঐক্যের পথ খুলে দিতে পারে। তাহলেই আমরা সংকট মুক্ত হয়ে সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে জাতির ৪৫তম স্বাধীনতা দিবস পালন করতে পারবো। আমি আশা করি, ক্ষমতাসীনদের শুভবুদ্ধির উদয় হবে। তারা সমঝোতার পথে ফিরে আসবে। আলোচনার মাধ্যমে বিদ্যমান সংকট দ্রুত নিরসনের উদ্যাগ নিবে।

দেশে গভীর সংকট চলছে মন্তব্য করে এর জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দায়ী করে খালেদা জিয়া বলেন, ‘দেশ আজ গভীর সংকটে। এই সংকট রাজনৈতিক। এর স্রষ্টা আওয়ামী লীগ, নির্দিষ্ট করে বললে শেখ হাসিনা। জনগণের সম্মতি ছাড়া রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসীন হয়েছেন তিনি। আওয়ামী লীগ একতরফা সিদ্ধান্তে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাদ করে দেয়। সুষ্ঠু নির্বাচনের কোন সুযোগই তারা রাখেনি।’

আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘মহাবিতর্কিত সংশোধনীর মাধ্যমে তারা গণতন্ত্রের নাম-নিশানা মুছে দিতে চেয়েছে। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে অবৈধ সরকার গঠন করেছে। প্রহসনের নির্বাচনের আগে তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, সংসদ ভেঙে নতুন নির্বাচন দেওয়া হবে। যথারীতি প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছিলেন। আসলে প্রতিশ্রুতি রক্ষার ইতিহাস তাদের নেই। প্রধানমন্ত্রীর সেই প্রতিশ্রুতিতে বিশ্বাস করে ৫ জানুয়ারির পর বিএনপির আন্দোলন থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত ভুল ছিল।’ বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনতে আন্দোলন ছাড়া আর কোনো পথ খুলে রাখা হয়নি। তাই আমরা আন্দোলনের পথ বেছে নিয়েছি।’

সংবাদ সম্মেলনে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দেয়াসহ চলমান রাজনৈতিক সংকট সমাধানে কিছু দাবি তুলে ধরেন খালেদা জিয়া। তিনি বলেন, ‘গ্রেফতার নেতাকর্মীদের মুক্তি, গুম-খুন-অহরণ ও পুলিশি হয়রানি বন্ধ, মামলা প্রত্যাহার, বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করে দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তি, সভা-সমাবেশের ওপর বিধিনিষেধ প্রত্যাহার, সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের জন্য দ্রুত সংলাপের আয়োজন করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘ক্ষমতা আমার কাছে বড় কিছু নয়। অতীতে আমি অনেকবার দেশ পরিচালনার সুযোগ পেয়েছি। গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিেয় আনতে আমরা লড়াই করছি। এ আন্দোলন কোনো ব্যক্তি বা দলের বিরুদ্ধে নয়। এ আন্দোলন আদর্শের, এ আন্দোলন গণতান্ত্রিক মানুষের। এ আন্দোলন ক্ষমতা দখলের আন্দোলন নয়, এ আন্দোলন একটি শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ গঠনের আন্দোলন।’  বিএনপি চেয়ারপাসন নেতাকর্মীদের নিজ নিজ এলাকায় আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে বলেন, যারা এখনো নিষ্ক্রিয় আছেন তারা সক্রিয় হোন। দলের যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদের মুক্তি দাবি তিনি বলেন, সালাহ উদ্দিন আহমেদকে মুক্তি দিন। অন্যথায় পরিণতি শুভ হবে না।

গত ৫ জানুয়ারি দশম সংসদের বর্ষপূর্তির দিন রাজধানীতে সমাবেশ করতে না পেরে তার কার্যালয়ে ‘অবরুদ্ধ’ থেকেই লাগাতার অবরোধের ডাক দেন খালেদা জিয়া। ৩ জানুয়ারি রাত থেকেই ওই কার্যালয়ে রয়েছেন তিনি। এরপর দফায় দফায় দেশজুড়ে হরতালও ডেকেছে ২০ দলীয় জোট।

  • বিষয়:
  • top
আরও পড়ুন

সর্বশেষ