পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শনিবার রাত ৮ টার দিকে যশোর-মাগুরা মহাসড়কের মঘীরঢাল এলাকায় মাগুরাগামী একটি বালু বোঝাই ট্রাকে পেট্রলবোমা ছোড়া হয়। এতে মুহূর্তেই ট্রাকটিতে আগুন ধরে গেলে ৯ শ্রমিক দগ্ধ হন। তাৎক্ষণিকভাবে তাদের মাগুরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়ার পর অবস্থার অবনতি হলে দগ্ধদেরকে রাতেই ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়। তবে পথেই মারা যান রওশন বিশ্বাস নামে এক শ্রমিক। দগ্ধদের মধ্যে রয়েছেন রওশনের আরো তিন স্বজন। চিকিৎসাধীন আট জনের মধ্যে ছয়জনের অবস্থাই আশঙ্কাজনক বলে জানান কর্তব্যরত চিকিৎসক।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. সুলতানা রাজিয়া বলেন, আমরা ৯ জন রোগী পেয়েছি যাদের মধ্যে একজনকে অ্যাম্বুলেন্সেই আমরা মৃত অবস্থায় পেয়েছি, বাকি ৮ জনের ৯৯.৯% মৃত্যুর ঝুঁকি রয়েছে। এদিকে, প্রায় দুইদিন যন্ত্রণায় ভুগে মারা গেছেন ফেনীর মাতুভুঞায় পেট্রলবোমা হামলায় দগ্ধ ট্রাক চালক মুক্তিযোদ্ধা ইউসুফ আলী। শনিবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। গত শুক্রবার সকালে ফেনী-নোয়াখালী মহাসড়কের মাতুভুঞা ব্রিজ এলাকায় নোয়াখালীগামী মাছ বোঝাই একটি ট্রাকে পেট্রোল বোমা হামলা চালানো হয়। এতে মারাত্মকভাবে দগ্ধ হন চালক ইউসুফ ও হেলপার রবিউলসহ ৫জন।