মঙ্গলবার, মে ৭, ২০২৪
প্রচ্ছদদেশজুড়ে শিগগিরই তিস্তাচুক্তি সম্পন্ন হবে : পানিসম্পদ

শিগগিরই তিস্তাচুক্তি সম্পন্ন হবে : পানিসম্পদ

পানিসম্পদ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছেন, ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার বাংলাদেশের জন্য তিস্তাচুক্তির গুরুত্ব বুঝতে পেরেছে। সেইসাথে পশ্চিমবঙ্গ সরকারও তাদের আগের অবস্থান থেকে সরে এসে তিস্তাচুক্তির ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব দেখাচ্ছে। তাই শিগগিরই তিস্তাচুক্তি সম্পন্ন হবে। বুধবার রাজধানীর সোনারগাঁ হোটেলে পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা নিয়ে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এ আশা প্রকাশ করেন।

পানিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, উত্তরবঙ্গের লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, রংপুর, গাইবান্ধাসহ কয়েকটি জেলার কৃষি আবাদে তিস্তা নদীর গুরুত্ব নতুন করে বলার নয়। এই নদীর উৎস ভারতের সিকিম, আর পশ্চিমবঙ্গ হয়ে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশে। তাই বাধ দিয়ে তিস্তার পানির ওপর নিয়ন্ত্রণ ভারতের। অভিন্ন নদীর পানি প্রবাহের আন্তর্জাতিক আইন না মেনে, বড় দেশের ছোট মানসিকতার বলি হচ্ছে উত্তরাঞ্চলের প্রান্তিক কৃষকরা।

মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, তিস্তায় বর্তমানে স্মরণকালের সবচেয়ে কম পানি প্রবাহিত হচ্ছে, যেখানে দেড় দুই হাজার কিউসেক পানি পাওয়ার কথা সেখানে পাচ্ছি ৩০০ কিউসেক। এতে ঐ এলাকায় চাষাবাদ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে, যা বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তার জন্য উদ্বেগজনক। ভারতের আগের কেন্দ্রীয় সরকার তিস্তা-চুক্তি করতে চাইলেও বাধ সাধেন পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল সরকার। তবে গতমাসে বাংলাদেশ সফরকালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর ইতিবাচক ইঙ্গিতে আশার আলো দেখছে সরকার।

পানিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, আশার কথা হলো সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বাংলাদেশ সফরকালে জানিয়েছেন তিস্তাচুক্তিতে তার কোন আপত্তি নেই। তার কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে এব্যাপারে কথা বলেছেন বলে জানি। তাই আমি আশা করছি ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের ন্যায্য-দাবিকে সম্মান দেখিয়ে এখন প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কাজ করবেন। পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ নিয়ে আয়োজিত সেমিনারে আরো বলা হয়, শিল্প, কৃষি এবং দৈনন্দিন কাজে পানির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ