সোমবার, মে ৬, ২০২৪
প্রচ্ছদরাজনীতিসালাহউদ্দিনকে খুঁজে বের করা সংক্রান্ত রুলের পরবর্তী শুনানি ৮ এপ্রিল

সালাহউদ্দিনকে খুঁজে বের করা সংক্রান্ত রুলের পরবর্তী শুনানি ৮ এপ্রিল

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদকে খুঁজে বের করে হাজির করার নির্দেশ সংক্রান্ত হাইকোর্টের রুলের পরবর্তী শুনানির দিন আগামী ৮ এপ্রিল। সোমবার শুনানি শেষে এ দিন ধার্য করেন বিচারপতি কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী ও বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুরের হাইকোর্ট বেঞ্চ। অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সোমবার হাইকোর্টের রুলের জবাবে পাঁচটি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতিবেদন নিয়ে শুনানি করেন। রোববার তিনি প্রতিবেদনগুলো উপস্থাপন করে জানিয়েছিলেন, সালাহউদ্দিন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী কোনো বাহিনীর হেফাজতে নেই এবং কোনো বাহিনী তার খোঁজ পায়নি।

আবেদনকারী বাদীপক্ষে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ চারটি পয়েন্টে শুনানি করতে চাইলেও সময় শেষ হওয়ায় সুপ্রিম কোর্টের অবকাশকালীন ছুটি শেষে আগামী ৮ এপ্রিল পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করে দেন। রোববার অ্যাটর্নি জেনারেলের মাধ্যমে প্রতিবেদন দাখিলকারী পাঁচটি বাহিনী হচ্ছে পুলিশ সদর দফতর, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি), এসবি, র‌্যাব ও সিআইডি। এগুলোর মধ্যে সালাহউদ্দিন আহমেদের খোঁজ পেতে পুলিশের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়। অন্য চার বাহিনী জানায়, তাদের হেফাজতে সালাহউদ্দিনকে গ্রহণ করা হয়নি।

আবেদনকারী বাদীপক্ষে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ওইদিন প্রতিবেদনগুলো চাইলে বাদীপক্ষকে প্রতিবেদনগুলো দিতে নির্দেশ দিয়ে সোমবার আবারও শুনানির কথা জানান হাইকোর্ট। গত ১২ মার্চ রোববারের মধ্যে কেন খুঁজে বের করে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন এ বেঞ্চ। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সালাহউদ্দিনকে হাজিরের নির্দেশনা চেয়ে তার স্ত্রী হাসিনা আহমেদের করা ফৌজদারি আবেদনের শুনানি শেষে এ রুল জারি করা হয়। ওইদিন সকালে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় হাসিনা আহমেদের পক্ষে আবেদনটি দাখিল করেন অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন। তিনি ছাড়াও আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার ও এজে মোহাম্মদ আলী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল। আবেদনে বিবাদী করা হয়েছে স্বরাষ্ট্র সচিব, আইজিপি ও ডিএমপি’র কমিশনারকে।

এতোদিন আত্মগোপনে থেকে বিএনপির পক্ষে কর্মসূচি ঘোষণা করে আসছিলেন সালাহউদ্দিন। গত ১১ মার্চ থেকে তার পরিবার ও বিএনপি অভিযোগ তুলেছে, আগেরদিন ১০ মার্চ রাতে তাকে ধরে নিয়ে গেছেন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। তবে পুলিশ, র‌্যাব বা গোয়েন্দা বাহিনীর কেউই সালাহউদ্দিন আহমেদকে আটকের দায় স্বীকার করেননি। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া উইংয়ের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার জাহাঙ্গীর সরকার বলেন, এ ধরনের কোনো খবর আমাদের কাছে নেই। মিডিয়া উইংয়ের উপ-পুলিশ কমিশনার মাসুদুর রহমানও বলেন, আমরা সালাহউদ্দিনকে আটক করিনি। কেউ আটক করে আমাদের কাছে হস্তান্তরও করেননি।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ