শুক্রবার, নভেম্বর ৮, ২০২৪
প্রচ্ছদচট্রগ্রাম প্রতিদিনপূর্ণাঙ্গ অটোমেশনে যাচ্ছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজ

পূর্ণাঙ্গ অটোমেশনে যাচ্ছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজ

CUSTOM HOUSE CTG১ জুলাই থেকে পূর্ণাঙ্গ অটোমেশনে যাচ্ছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজ। এ প্রক্রিয়া বাস্তবায়নে পরীক্ষমূলকভাবে সংযোজন করা হচ্ছে একটি আধুনিক সফটওয়্যার। ৬৬ কোটি টাকা ব্যয়ে স্থাপিত নতুন এই ওয়েব বেইজড সিস্টেম পর্যায়ক্রমে এক উইন্ডোতে চলে আসবে কাস্টম হউজের শুল্কায়নের সমস্ত প্রক্রিয়া। এতে স্টেকহোল্ডারদের হয়রানি কমার পাশাপাশি শুল্কায়ন নিয়ে বিরোধ এবং জালিয়াতি কমবে বলে আশা করছেন কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। হাজেরা শিউলির রিপোর্ট।

২০০৮ সালে চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্সের সহযোগিতায় চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে অটোমেশন বাস্তবায়নের কাজ শুরু হয়। বর্তমানে এসাকুইডা প্লাস সিস্টেমে অনলাইনে বিল অব এন্ট্রি এবং ইমপোর্ট-এক্সপোর্ট মেনিফেস্ট দাখিলের সুযোগ থাকলেও শুল্কায়ন হয় ম্যানুয়ালি।

এসাকুইডা ওয়ার্ল্ডের প্রকল্প পরিচালক সৈয়দ মুশফিকুর রহমান জানান, ৯০টি দেশে ব্যবহৃত আংকটাড স্বীকৃত এসাকুইডা ওয়ার্ল্ড চালু হলে কোনো পেপার ওয়ার্ক থাকবে না। ১ জুলাই অনলাইনে বিল অব এক্সপোর্ট ও ইলেক্ট্রনিকস মেনিফেস্ট দাখিলের মাধ্যমে শুরু হবে প্রাথমিক প্রক্রিয়া।

স্টেকহোল্ডাররা বলছেন, সংশ্লিষ্ট সব সংস্থাকে এর সঙ্গে সম্পৃক্ত করা না গেলে সুফল মিলবে না। এছাড়া ডিজিটাল সিগনেচার সিস্টেমে পাসওয়ার্ড চুরির আশঙ্কা ব্যক্ত করে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেয়ার দাবি তাদের।

কাস্টম সি অ্যান্ড এফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসেন বাচ্চু, কেউ যদি পাসওয়ার্ড হ্যাক করে বা অসুদুপায়ে ব্যবহার করে তবে তারা সমস্যার সম্মুখিন হবেন।

তবে যথাযথভাবে এই পদ্ধতি বাস্তবায়িত হলে কাস্টম হাউসের রাজস্ব বাড়ার পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের হয়রানি কমবে বলে মনে করেন শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান কামাল হায়াত। ২০১৪ জুনের মধ্যে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে পূর্ণাঙ্গ অটোমেশন বাস্তবায়নের কাজ শেষ হবে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ