শনিবার, মে ২৫, ২০২৪
প্রচ্ছদরাজনীতিরোববার থেকে ফের ৭২ ঘণ্টার হরতাল

রোববার থেকে ফের ৭২ ঘণ্টার হরতাল

০৮ মার্চ রোববার  সকাল ৬টা থেকে আগামী ১১ মার্চ  বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ফের ৭২ ঘণ্টার হরতাল ডেকেছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট।শনিবার বিকেলে সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বিএনপি যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদ এ ঘোষণা দেন। এ ছাড়া ০৯ মার্চ দেশের সব  জেলা, উপজেলা, পৌরসভা ও থানা পর্যায়ে এবং দেশের সব মহানগরের ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে গণমিছিল অনুষ্ঠানের ঘোষণা দেন তিনি।

বিএনপি ও ২০ দলীয় জোটের পক্ষে বিবৃতিতে সালাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, জাতিসংঘসহ সব বিশ্বসংস্থা ও যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইইউসহ সব উন্নত রাষ্ট্র এবং সব আন্তর্জাতিক মহলের স্বীকৃতিবিহীন একটি প্রহসনমূলক নির্বাচনী নাটক মঞ্চস্থ করে আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রের কবর রচনা করেছে। শতকরা ৯৫ ভাগ ভোটারবিবর্জিত স্বঘোষিত স্বৈরাচারী সরকার দেশের জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ক্ষমতায় টিকে থাকার মহড়া দিয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, সংসদ, আইন-আদালত, প্রশাসনসহ সব গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে পদদলিত করে রাষ্ট্রকে এক ব্যক্তির হুকুমের দাসে পরিণত করতে চায় আওয়ামী লীগ। স্বাধীনতা পরবর্তীকালে মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থাকে নির্মূল করে আওয়ামী লীগই একদলীয় স্বৈরতন্ত্র প্রচলন করেছিল। আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে বিএনপি যুগ্ম মহাসচিব বলেন, জনগণের গণতান্ত্রিক ও রাজনৈতিক অধিকার এবং বাক-ব্যক্তিস্বাধীনতা হরণের ইতিহাসই আওয়ামী লীগের ইতিহাস। মৌলিক ও মানবাধিকার হরণ ও গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধের ইতিহাসই আওয়ামী লীগের ইতিহাস। তিনি আরো বলেন, বিরোধীদল ও ভিন্নমতের বিনাশে রক্ষীবাহিনীর গণহত্যার ইতিহাসই আওয়ামী লীগের ইতিহাস।

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, বাকশালী শাসনের পুরনো মডেলের নুতন সংস্করণই বর্তমান আওয়ামী লীগের শাসকগোষ্ঠী অনুসরণ করে যাচ্ছে হত্যার রাজনীতি বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে। সালাহ উদ্দিন আহমেদ বিবৃতিতে বলেন, জনবিচ্ছিন্ন আওয়ামী সরকার গণতন্ত্রের ঠিকানা থেকে যোজন যোজন দূরে অবস্থান করছে। বাংলাদেশ এখন রাজনৈতিক রাষ্ট্রের (Political State) চেহারা হারাতে বসেছে। জনগণ এখন রাষ্ট্রকে ভয় পায়। কর্তৃত্ববাদী সরকার রাষ্ট্র ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য চূড়ান্ত পর্যায়ের হত্যাযজ্ঞে মেতে উঠেছে। গুম, খুন, অপহরণ ও গণগ্রেফতারসহ সীমাহীন জুলুম-নির্যাতন, হামলা মামলায় জর্জরিত জনগণ এখন যে কোনো মুহূর্তে অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে গণবিস্ফোরণ ঘটাতে প্রস্তুত।

প্রধানমন্ত্রীর প্রতি পদত্যাগের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, রাষ্ট্রীয় নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে সব সামাজিক শক্তি ও গণশক্তির ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধের মুখে স্বৈরশাসনের পতন অনিবার্য। আমরা এখনও প্রধানমন্ত্রীকে আহ্বান জানাই, জনগণের পক্ষে অবস্থান নিয়ে গণতন্ত্র রক্ষা করুন। উন্নত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় সহযোগিতা করুন। স্বৈরতান্ত্রিকতা, একনায়কতান্ত্রিকতা পরিহার করে রাষ্ট্রকে রক্ষা করুন এবং আপনার নিজের দলকেও রক্ষা করুন।

বিএনপির এই নেতা অবিলম্বে নির্দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু, অবাধ, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান, জনগণের মৌলিক ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা, অন্যায়ভাবে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার বিএনপি ও ২০ দলীয় জোটের সিনিয়র নেতৃবৃন্দসহ সব রাজবন্দির মুক্তি, জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের দাবি জানান। তিনি আরো জানান, হরতালের পাশাপাশি শান্তিপূর্ণ অবরোধ কর্মসূচিও অব্যাহত থাকবে।

  • বিষয়:
  • top
আরও পড়ুন

সর্বশেষ