ডেস্ক রিপোর্ট (বিডি সময় ২৪ ডটকম)
ওয়াল-মার্ট, গ্যাপ ও অন্যান্য প্রধান মার্কিন রিটেইলার বাংলাদেশের গার্মেন্টস কারখানার নিরাপত্তা পরিস্থিতির উন্নয়নে আগামী মাসের প্রথম দিকেই একটি চুক্তিতে পৌঁছতে যাচ্ছে। দুই মাস আগে একটি গার্মেন্টস ভবন ধসে ১১৩২ জন শ্রমিকের প্রাণহানির প্র্রেক্ষাপটে এই চুক্তি হচ্ছে। ওয়াশিংটন পোস্টে এ বিষয়ে একটি খবর প্রকাশিত হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক পত্রিকাটি জানায়, বাংলাদেশে গার্মেন্টস কারখানার অগ্নি নির্বাপন ও নিরাপত্তা পরিস্থিতি উন্নয়নে আন্তর্জাতিক চুক্তিতে উপনীত হতে ওয়াল-মার্ট ও গ্যাপের ওপর চাপ বাড়ছিল।
গত মাসে এইচ এন্ড এম এবং ইন্ডিটেক্সসহ কয়েক ডজন বৃহৎ ইউরোপীয় রিটেইলার সেই সঙ্গে এবারক্রম্বি এন্ড ফিচ, পিভিএইচ এবং অন্যান্য আমেরিকান কোম্পানি আইনী বাধ্যবাধকতা চুক্তি স্বাক্ষর করে।
চুক্তি স্বাক্ষরে অস্বীকৃতির কারণে ক্রমবর্ধমান সমালোচনার মুখে ওয়াল-মার্ট ও গ্যাপ এ মাসে উত্তর আমেরিকার রিটেইলার গোষ্ঠী ও শিল্প সমিতির পৃথক একটি পরিকল্পনার ব্যাপারে সাফাই করতে সিনেটের পররাষ্ট্র সম্পর্ক কমিটিতে শুনানির জন্য হাজির হয়।
বাইপার্টিজান পলিসি সেন্টার নামের একটি এলাকাভিত্তিক অলাভজনক গ্রুপ আহুত সভায় এই পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এর সভাপতি জেসন গ্রুমেট বুধবার বলেন, ‘এ মুহূর্তে অল্প কিছু বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছা ও চূড়ান্ত করা বাকি রয়েছে। জুলাইয়ের প্রথম দিকেই আমরা এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পথে রয়েছি।’
আলোচনায় সম্পৃক্ত অন্যান্য রিটেইলার হচ্ছে ম্যাসিস, সিয়ার্স এবং জেসি পেনি। সভায় সভাপতিত্ব করেন সেন্টারের সহপ্রতিষ্ঠাতা সিনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের সাবেক নেতা জর্জ জে মিচেল এবং সিনিয়র নেতা সাবেক সিনেটর অলিম্পিয়া স্নো।
ওহাইওর ডেমোক্র্যাট নেতা শেরড ব্রাউনের নেতৃত্বে আট মার্কিন সিনেটরের একটি গ্রুপ বাংলাদেশে অগ্নিনিরাপত্তা বিষয়ে বিদ্যমান চুক্তিস্বাক্ষরের বিষয় বিবেচনা করার জন্য ওয়াল-মার্ট ও অন্যান্য রিটেইলারের প্রতি আহবান জানিয়ে চিঠি দিয়েছে।
সিনেটরগণ যুক্তি দেখান যে, স্ব পর্যবেক্ষণ বা স্বেচ্ছমূলক উদ্যোগ নয়, একমাত্র মার্কিন ও ইউরোপীয় রিটেইলারদের আইনী বাধ্যবাধকতমূলক আন্তর্জাতিক চুক্তিই বাংলাদেশের শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।
ইউনাইটেড স্টুডেন্টস এগেইনস্ট সোয়েটশপ এবং অন্যান্য শ্রমিক অধিকার গ্রুপ চুক্তি স্বাক্ষর না করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও ব্রিটেনের ৩০টিরও বেশি শহরে ওয়াল-মার্ট ও গ্যাপের বিরুদ্ধে শনিবার বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে। তারা এ পর্যন্ত ৫০টি পোশাক কোম্পানি স্বাক্ষরিত অগ্নিনির্বাপন ও নিরাপত্তা চুক্তির প্রতি সমর্থন ঘোষণা করেছে।