শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নির্ধারিত সময়ে তাহলে পরীক্ষা হবে কি না- জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “আমরা অনুরোধ জানাচ্ছি, আল্লাহর দোহাই, খোদার দোহাই, মানবতার দোহাই, তারা দয়া করে আমাদের ছেলে-মেয়েদের পরীক্ষা নিশ্চিন্তে দেওয়ার ব্যবস্থা করে দিন। দেখি তারা আমাদের ডাকে কী সাড়া দেন? তাদের জিজ্ঞেস করেন, তারপর আমাদের বলেন। দয়া করে তারা কর্মসূচি বন্ধ রাখুন আমাদের ভবিষত নষ্ট করবেন না”। অবরোধ-হরতাল পরীক্ষায় নতুন বাধার সৃষ্টি হতে পারে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, পরীক্ষার্থী-অভিভাবক সবাই উদ্বিগ্নতার মধ্যে আছেন, আমরাও উদ্বিগ্ন। বাস্তবে অবরোধ-হরতাল হচ্ছে না, হরতাল-অবরোধের নামে মানুষ পোড়ানো হচ্ছে। “সকল দল-মত সবার কাছে আহ্বান, দয়া করে পরীক্ষার আগে কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দিন। ভীতি সৃষ্টিকারী, মানুষ হত্যাকারী কর্মসূচি বন্ধ করেন। পরীক্ষা যেন আমাদের ছেলেমেয়েরা নির্বিঘ্নে দিতে পারে”।
কর্মসূচি বন্ধ না করার কোনো বিকল্প এই মুহূর্তে নেই জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, একটাও বিকল্প নাই, বন্ধ করতেই হবে। আশা করি তাদের মধ্যে ন্যূনতম মানবিক মূল্যবোধ চাপা পড়ে আছে, তা জাগ্রত হবে এবং আমাদের ছেলে-মেয়েদের পরীক্ষা নিশ্চিতে দেওয়ার জন্য ব্যবস্থা করবেন”। এসএসসি পরীক্ষার সমস্ত প্রস্তুতি রয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, প্রশ্ন ছাপানো থেকে শুরু করে যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছি। সম্ভাব্য যারা প্রশ্ন ফাঁস করতে পারেন তারা সবাই নজরদারিতে রয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী। সভায় শিক্ষা সচিব নজরুল ইসলাম খান, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক ফাহিমা খাতুন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ অন্যান্য মন্ত্রণালয়, বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।