নগরীর কাজির দেউড়িতে নাসিমন ভবনে বিএনপি কার্যালয় সুনসান দেখা গেছে। কার্যালয়ের আশপাশ ঘিরে পুলিশ থাকলেও তাদের খোশগল্পে মেতে থাকতে দেখা গেছে। নগরীর কোথাও হরতালের সমর্থন বিএনপি, জামায়াত কিংবা অন্য কোন দলের মিছিল-সমাবেশের কোন খবর পাওয়া যায়নি। হরতালে নাশকতা মোকাবেলায় চট্টগ্রাম নগরী ও জেলায় কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সহিংসতা মোকাবেলায় অতিরিক্ত পুলিশের পাশাপাশি বিজিবিও মোতায়েন আছে। নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) বনজ কুমার মজুমদার বলেন,‘মাঠে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন আছে। ছয় প্লাটুন বিজিবি সদস্য মোতায়েন রাখা হয়েছে। ’
নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার মো. হাছান চৌধুরী বলেন,‘নাশকতা মোকাবেলায় প্রায় দুই হাজার অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন আছে। কেউ সহিংসতা সৃষ্টি করতে চাইলে কঠোরভাবে দমন করা হবে। ’ চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার একেএম হাফিজ আক্তার বলেন,‘স্পর্শকাতর পাঁচটি উপজেলায় ছয় প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন আছে। সব উপজেলায় অতিরিক্ত পুলিশ আগে থেকেই মোতায়েন আছে।’
এদিকে হরতালের মধ্যে নগরীতে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক আছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে। তবে দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল বন্ধ আছে বলে জানা গেছে। টানা অবরোধের মধ্যে রোববার সকাল ৬টা থেকে সোমবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ৩৬ ঘণ্টার হরতালের ডাক দিয়েছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট। শনিবার দুপুরে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত একটি বিবৃতিতে এই হরতালের ডাক দেয়া হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাব, সরকারের নাশকতার ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদ এবং বিএনপি নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে এই হরতাল আহ্বান করছে ২০ দলীয় জোট।