সোমবার, মে ৬, ২০২৪
প্রচ্ছদদেশজুড়েমেয়র আরিফের জামিন নামঞ্জুর

মেয়র আরিফের জামিন নামঞ্জুর

সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলায় সিলেট সিটি করপোরেশনের সদ্য সাময়িক বহিস্কৃত মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। রোববার সকালে হবিগঞ্জ জজ আদালতে তার জামিন আবেদন করা হলে বিচারক মাহবুবুল ইসলাম তা নামঞ্জুর করেন। আরিফ ওই মামলায় বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। এদিন সকাল সাড়ে ১১টার দিকে হবিগঞ্জ জজ আদালতে আরিফুল হক চৌধুরীর জামিন আবেদন করেন তার আইনজীবীরা। শুনানিতে আইনজীবীরা আরিফকে নির্দোষ দাবি করেন। একইসঙ্গে আইনজীবীরা মামলার সম্পূরক চার্জশিটের অসঙ্গতিগুলো তুলে ধরে আরিফুল হক চৌধুরীর জামিন প্রার্থনা করেন। শুনানি শেষে বিচারক মাহবুবুল ইসলাম আরিফের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।জামিন শুনানির সময় আরিফ আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তিনি বর্তমানে কারা হেফাজতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।আদালতে জামিন আবেদন শুনানিতে আরিফুল হক চৌধুরীর পক্ষে অংশ নেন অ্যাডভোকেট মঞ্জুর উদ্দিন আহমদ, আশরাফুল বারী নোমান, সালেহ উদ্দিন আহমদ ও খালিকুজ্জামান চৌধুরী।এর আগে ৩০ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে হবিগঞ্জের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম রোকেয়া আক্তারের আদালতে আত্মসমর্পণ করেন বিএনপি সমর্থন নিয়ে নির্বাচিত এই মেয়র। পাশাপাশি জামিনের আবেদন করা হয় আরিফের পক্ষ থেকে। শুনানি শেষে আদালত আরিফকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়ে ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জ সদরের বৈদ্যের বাজারে ঈদ পরবর্তী এক জনসভা শেষে বের হওয়ার পথে গ্রেনেড হামলার শিকার হন সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া। ঢাকা নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মজিদ খান ওই রাতেই হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা দায়ের করেন।মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সিলেট অঞ্চলের সহকারী পুলিশ সুপার মেহেরুন নেছা পারুল আরিফুল হক চৌধুরী, জি কে গউছ এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরীসহ ১১ জনের নাম যোগ করে সংশোধিত সম্পূরক অভিযোগপত্র জমা দেন। নতুন আসামিদের নিয়ে এ মামলায় আসামির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৫ জনে। গত ২১ ডিসেম্বর গ্রেফতারি পরোয়ানা তাদের বিরুদ্ধে জারি করেন আদালত। তাদের গ্রেফতারের বিষয়ে ৮ জানুয়ারি পুলিশকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।
আরও পড়ুন

সর্বশেষ