সাম্প্রতিক সময়ে দেয়া পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ও র্যাবের ডিজির বক্তব্যকে এখতিয়ার বহির্ভূত আখ্যা দিয়ে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোট বলেছে, ‘তারা জনসভায় রাজনীতিবিদদের ভাষল দেয়ার মতো করে রীতিমতো রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়েছেন। বিরোধী দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কটূক্তি করে তারা ক্ষমতাসীনদের রাজনৈতিক পক্ষে সাফাই গেয়েছেন।’ শনিবার সন্ধ্যায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান স্বাক্ষরিত বিবৃতিটি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়। এর আগে দুপুরে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা ২০-দলের একটি বিবৃতি পাঠানো হয়। সেলিমা রহমানের সই করা বিবৃতি পাঠানোর পর আরেক বিবৃতিতে রিজভী বলেছেন, তাঁর সই করা বিবৃতিটি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।বিবৃতিতে বলা হয়, ক্ষমতাসীনরা এতটাই দেউলিয়া হয়ে পড়েছে যে, এখন রাজনৈতিক সমস্যার সমাধানের পথে না গিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রধানদের রাজনীতির মাঠে নামিয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শীর্ষ পদে এমন সব চরম দলবাজ লোকদের বসানো হয়েছে যে, তারা এখন আইন কানুন এবং তাদের আওতা, পরিধি ও কর্তব্যের সীমারেখা মেনে চলারও ধার ধারছে না।আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধানদের উদ্দেশ্যে করে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘নিরাপত্তা বাহিনীর যেসব কর্মচারির রাজনৈতিক খায়েশ রয়েছে আমরা তাদের উর্দি খূলে প্রজাতন্ত্রের চাকরিতে ইস্তফা দিয়ে রাজনীতির মাঠে নামার আহ্বান জানাচ্ছি।’এরপরই নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মরত সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সুবিধাভোগি ও উচ্চাভিলাসি প্রতিযোগিতায় লিপ্ত এ সমস্ত দলবাজ কর্মকর্তাদের বেআইনি আদেশ- নির্দেশ মানতে আপনারা বাধ্য নন। আপনারা প্রকৃত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে জনগণের পাশে থাকবেন ও আইনসম্মত পন্থায় কর্তব্য পালন করবেন।’ জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের বিবৃতিতে সমর্থন জানিয়ে বলা হয়,‘ জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন বাংলাদেশের চলমান পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ, সহিংসতা বন্ধ এবং বিরোধী দল ও জনগণের মৌলিক মানবাধিকার রক্ষার আহ্বান জানিয়ে যে বিবৃতি দিয়েছে তার প্রতি আমাদের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। আমরা এটিকে স্বাগত জানাই। সমস্যাটি যে রাজনৈতিক এবং বিরোধী দলের কর্মসূচি পালনে ক্ষমতাসীনদের বাধা প্রদান ও নির্যাতন থেকে উদ্ভূত তারা তা অনুধাবন করেছেন।’