সোমবার, এপ্রিল ২৯, ২০২৪
প্রচ্ছদচট্রগ্রাম প্রতিদিনচট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের একাংশের অবরোধ চলছে

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের একাংশের অবরোধ চলছে

তাপস সরকারের হত্যার বিচারসহ ছয়দফা দাবিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের একাংশের অবরোধ চলছে। শনিবার সকালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়গামী দুইটি শাটল ট্রেনের ১২টি বগির হোস পাইপ কেটে দিয়েছে তারা। ফলে সকাল থেকে কোন শাটল ট্রেন চলাচল করতে না পারাই দুর্ভোগে পড়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বিপাকে পড়েছে বিভিন্ন বিভাগের পরীক্ষার্থীরা।

রেলওয়ে পুলিশের ষোলশহর ফাঁড়ির  তত্ত্বাবধায়ক আরব আলী  বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে দুইটি শাটল ট্রেন চলাচল করে। শনিবার সকালে কে বা কারা দুইটি ট্রেনের ১২টি বগির হুস পাইপ কেটে দিয়েছে। ফলে শাটল ট্রেন বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে পারেনি। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, ছাত্রলীগ কর্মী তাপস সরকারের ‘মূল হত্যাকারীদের’ বিচারসহ ছয় দফা দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ নিয়ন্ত্রিত বগিভিত্তিক সংগঠন ভার্সিটি এক্সপ্রেস (ভিএক্স) এর কর্মীরা এ অবরোধের ডাক দেয়।

শুক্রবার সন্ধ্যায় ভিএক্স গ্রুপের নেতা ও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সদস্য আনোয়ার জাহিদ অনিক অবরোধের বিষয়টি  নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘তাপস হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচারসহ ছয় দফা দাবিতে আমরা এর আগেও অবরোধের ঘোষণা দিয়েছিলাম। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আশ্বাসে তা প্রত্যাহার করা হয়েছিল। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দাবির বাস্তবায়ন না করায় ফের অবরোধের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।’

গত ১৪ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্বরে ফুল দিতে গিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপ।  এসময় গুলিতে নিহত হন ছাত্রলীগ কর্মী তাপস সরকার। তাপস সরকার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নিয়ন্ত্রিত বগিভিত্তিক সংগঠন চুজ ফ্রেন্ডস উইথ কেয়ার’র (সিএফসি) নেতা। তাপস সরকার হত্যাকাণ্ডের জন্য সিএফসির পক্ষ থেকে ভিএক্স গ্রুপকে দায়ী করা হয়।  পুলিশও জানায়, ভিএক্স গ্রুপের নেতা ও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির উপ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক আশরাফুজ্জামান আশার গুলিতেই তাপস নিহত হন। তবে ভিএক্স গ্রুপের দাবি, সিএফসি গ্রুপের নেতারা নিজেরাই তাদের কর্মীকে খুন করেছে।  তারা হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে সিএফসির কয়েকজন নেতাকে দায়ী করেন।

ভিএক্স’র দেয়া ছয় দফা দাবি হলো- ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তসাপেক্ষে নিহত ছাত্রলীগ সমর্থক তাপস সরকারের মূল হত্যাকারীদের বিচার, কর্তব্য অবহেলার কারণে হাটহাজারী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইসমাইলের অপসারণ, হত্যার মূল পরিকল্পনাকারীদের গ্রেফতার, ছাত্রলীগকর্মীদের হলে অবস্থান ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, ইতোপূর্বে আটক ‘নিরপরাধ’ নেতাকর্মীদের মুক্তি, ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা ‘মিথ্যা অস্ত্র ও হত্যা মামলা’ প্রত্যাহার।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ