শুক্রবার, মে ১৭, ২০২৪
প্রচ্ছদরাজনীতি৫ জানুয়ারি দেশে কোনো ভোট হয়নি : খালেদা জিয়া

৫ জানুয়ারি দেশে কোনো ভোট হয়নি : খালেদা জিয়া

আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে একটি ‘নির্বাচনের পন্থা’ বের করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ২১ ডিসেম্বর রোববার বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত বিজয় দিবসের সমাবেশে তিনি এ আহ্বান জানান। খালেদা জিয়া বলেন, গত ৫ জানুয়ারি দেশে কোনো ভোট হয়নি। ভোট ছাড়া কোনো সরকার বৈধ হতে পারে এরা বিনাভোটেই সরকার গঠনের মতো সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে নিয়েছে। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৩০০ আসনের মধ্যে সংসদের ১৫৪ আসন তারা পেয়েছে বলে ঘোষণা করেছে। বা‍কি আসনগুলোতে শতকরা ৫ জন ভোটারও ভোট দিতে যায়নি।তিনি বলেন, এই প্রহসনের নির্বাচনে বিএনপিসহ কোনো বিরোধীদল অংশ নেয়নি। এভাবে বিনা ভোটে না-কি তারা গণতন্ত্র ও সংবিধান রক্ষা করেছে! আসলে সংবিধান নয়, গণতন্ত্র নয়, তারা রক্ষা করেছে তাদের ক্ষমতাকে। আর কেড়ে নিয়েছে জনগণের সকল অধিকার। এই প্রহসন করার উদ্দেশেই তারা খেয়ালখুশি মতো আগেই একতরফাভাবে সংবিধান তছনছ করে ফেলেছিল। তারা মনে করে তাদের এইসব ধূর্ত অপকৌশল দেশ-দুনিয়ার মানুষ কিছুই বোঝে না। এই পরিস্থিতিতে আমরা একটি সত্যিকারের নির্বাচন চাইছি। যে নির্বাচনে ভোটাররা নির্বিঘ্নে ও বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনায় ভোট দিতে পারবে। যে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী সকল রাজনৈতিক দল অংশ নিতে পারবে। সকল দলের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড থাকবে। কেউ ক্ষমতাসীন থেকে আর কেউ ক্ষমতাহীন থেকে নির্বাচন করবে, সেটা হতে পারে না। আর নির্বাচন কমিশন, প্রশাসন, পুলিশ এগুলোকে দল-নিরপেক্ষ অবস্থানে আনতে হবে।  বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। এমন একটি নির্বাচনের পন্থা আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে বের করার আহ্বান আমরা দীর্ঘদিন ধরে জানিয়ে আসছি। দাবি মানা না হলে জনগণের আন্দোলনে স্বৈরাচারী ও অবৈধ সরকার তাসের ঘরের মতো ভেসে যাবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন বিএনপি প্রধান।খালেদা জিয়া বলেন, জিয়াউর রহমান যথাসময়ে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে প্রতিরোধ যুদ্ধকে মুক্তিযুদ্ধে রূপ দিয়েছিলেন। সেই যুদ্ধে সকলের অংশগ্রহণ ছিল, সেটা ছিল জাতীয়যুদ্ধ। কিন্তু পরবর্তী সময়ে স্বাধীনতাযুদ্ধের সাফল্যকে দলীয়করণের অপচেষ্টা শুরু হয়। ইতিহাস বিকৃতি শুরু হয়। কেউ সঠিক তথ্য দিলে তথ্যভিত্তিক জবাব না দিয়ে গালাগাল শুরু করা হয়। স্বাধীনতা কোনো দলীয় অর্জন নয়, জাতীয় অর্জন। মহান স্বাধীনতাযুদ্ধ ও এর অর্জনকে দলীয়করণের চেষ্টা লজ্জাজনক।

মুক্তিযুদ্ধে আওয়ামী লীগ নেতাদের কড়া সমালোচনা করে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, স্বাধীনতাযুদ্ধে তাদের ভূমিকা ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। রণাঙ্গনে জীবন বাজি রেখে তারা যুদ্ধ করেননি, আরাম-আয়েশে জীবন কাটিয়েছেন। জাতিকে রক্ষার চেয়ে নিজেদের পরিবার রক্ষার কথা বেশি ভেবেছেন। আজ সেই দল তাদের সেই ব্যর্থতা ঢাকতে চায়। কিন্তু ইতিহাস তার আপন গতিতে চলবে। মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিত্বে সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক জয়নুল আবদিন ফারুক, অর্থনীতি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সালাম, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ইসমাঈল হোসেন বেঙ্গল, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক শফিউজ্জামান খোকন প্রমুখ।

  • বিষয়:
  • top
আরও পড়ুন

সর্বশেষ