বৃহস্পতিবার চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও ৯টি সদস্য পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সদস্যদের ভোটে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এমএ ছালাম চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ভাইস চেয়ারম্যান হয়েছেন তাজিক করিম। সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন, আশিক ইমরান, রাহাত বিন আসাদ, নুর উদ্দিন জাবেদ, সৈয়দ আহসানুল হক শামীম, সোহাইল মোহাম্মদ শাকুর, ইঞ্জিনিয়ার ফজলে রাব্বী খান, মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ, সালাউদ্দিন আহমেদ, অলক নন্দী।
১৮৭৬ সালে চা বাগান মালিক ডব্লিও এ ক্যাম্পরেল চট্টগ্রাম ক্লাব প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেন। ১৮৭৮ সালে প্রতিষ্ঠার পর ১৯০৮ সালে এই ক্লাবটি একটি রেজিস্টার্ড কোম্পানি হিসেবে অনুমোদন লাভ করে। ১৯৬১ সালে ১২ একর জমি ৯৯ বছরের জন্যে লীজ নেয়া হয়। চট্টগ্রাম ক্লাব বর্তমান স্থলে আসে ১৯০১ সালের ২৭ মার্চ। ১৯০৫ সালের বঙ্গভঙ্গ, চট্টগ্রামে ইস্টার্ন বেঙ্গল রেলওয়ে সদর দপ্তর স্থাপন এবং চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে পাট রপ্তানি বৃদ্ধির সাথে সাথে চট্টগ্রাম ক্লাবেরও শ্রীবৃদ্ধি ঘটে। ১৯৪৭ সাল থেকে ক্লাবের সাংগঠনিক কাঠামো ও বৈশিষ্ট্যে পরিবর্তন আসতে থাকে। সর্বোচ্চ সদস্য সংখ্যার সীমাবদ্ধতা প্রত্যাহার করা হয়। সমাজের উঁচু, বিত্তশালী ও শিক্ষিত ব্যক্তিদের ক্লাবের সদস্য হওয়ার জন্য যোগ্য বলে গঠনতন্ত্রে পরিবর্তন আনা হয়।
বর্তমানে ক্লাবের সদস্যসংখ্যা বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে প্রায় দুই হাজার। বিগত কয়েক দশকে ক্লাবের সুযোগ সুবিধা বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিনোদন ও অতিথি আপ্যায়নের ব্যবস্থা, পুরুষ ও মহিলাদের পৃথক হেলথ ক্লাব, বার, কনফেকশনারি ও ডাইনিং রুম গড়ে তোলা হয়েছে। তাছাড়া লাইব্রেরি, সিনেমা দেখার ব্যবস্থা এবং ফুটবল, ক্রিকেট, টেনিস, টেবিল টেনিস, স্কোয়াশ, ব্যাডমিন্টন, বিলিয়ার্ড ও স্নুকার খেলার সুবিধা রয়েছে। সাংস্কৃতিক ও মানবিক সেবা কর্যক্রমে সহায়তার জন্য ক্লাবটি তহবিল সংগ্রহ অভিযানও পরিচালনা করে থাকে। বর্তমানে চট্টগ্রাম ক্লাব পৃথিবীর ৫২টি ক্লাবের সঙ্গে সাথীভুক্ত হয়ে কর্মকান্ড পরিচালনা করে চলেছে।