মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ২৪ আগস্ট লন্ডনের কুইনমেরি ইউনিভার্সিটিতে তারেক রহমান এক আলোচনা সভায় ‘আওয়ামী লীগ নেতারা কুলাঙ্গার এবং শেখ হাসিনা কুলাঙ্গারদের নেত্রী’, গত ২ সেপ্টেম্বর তিনি বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে ‘জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি’ ও ‘মুক্তিযুদ্ধের ইহিহাস কারকরা তেলবাজ’ বলে বক্তব্য রেখেছেন। যা মিথ্যা, বানোয়াট ও মানহানিকর ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। অন্যদিকে গত ৫ সেপ্টেম্বর সাবেক অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৭ মার্চের ভাষণ শেষে ‘জয় পাকিস্তান’ বলেছেন এবং ‘বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দেন নাই’ বলে মির্জা ফখরুল ইসলাম বক্তব্য দিয়েছেন। যা মিথ্যা, বানোয়াট, মানহানিকর ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ওই সকল বক্তব্য গত ২৬ আগস্ট, ৩ সেপ্টেম্বর ও ৬ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশ পেয়েছে।
মামলায় বলা হয়, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি ছিলেন। জিয়াউর রহমান তাকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে বিভিন্ন সময়ে গার্ড অব অনারও প্রদান করেছেন জেনেও তারেক রহমান লন্ডনে বসে বিএনপির বিভিন্ন অনুষ্ঠানে এবং মির্জা ফখরুল দেশের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ইতিহাস বিকৃত করে মানহানিকর বক্তব্য দিয়ে চলেছেন। এ সকল মিথ্যা, বানোয়াট, ইতিহাস বিকৃতি ও মানহানিকর বক্তব্য দিয়ে দেশসহ বিশ্বের দরবারে বাঙালি জাতির মান-সম্মান ক্ষুন্ন করে পাঁচশ’ কোটি টাকার মানহানি করেছেন। যা দণ্ডবিধির ৪৯৯ এবং ৫০০ ধারায় শান্তিযোগ্য অপরাধ।