রফিকুল ইসলাম বলেন, বর্তমান সরকার ভোটারবিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতাসীন একটি জালেম সরকার। রাস্তায় দু’চার জন লোক মরলেই ক্ষমতা ছাড়বে না। ইয়াহিয়ার চাইতেও সরকার কড়া। তাই গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমেই এদের পতন ঘটাতে হবে। সারা পৃথিবীকে আন্দোলনে নেমে জানিয়ে দিতে হবে, এরা টিকবে না, টিকতে পারে না। তিনি বলেন, বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হচ্ছেন মেজর মঞ্জুর হত্যার আসামি।
রফিকুল বলেন, সরকারের লোকেরাই দুর্নীতিগ্রস্থ। অথচ সরকার নিজেদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধারক বাহক বলে দাবি করে। সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, সরকার যে নির্যাতন, ব্যাভিচার করছে তা রুখতে ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে মুক্তিযুদ্ধের মতো আন্দোলন করতে হবে। তিনি বলেন, যেমন যু্দ্ধ করে স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে, তেমনি রাজপথে নেমে সরকারে বিরুদ্ধে অবস্থান সারা পৃথিবীকে জানিয়ে দিতে হবে।
রফিকুল ইসলাম বলেন, এই সরকারের পর কোনো সরকার হলে দুর্নীতি থাকবে না, অন্যায় থাকবে না। এমন একটি সরকার হবে যেখানে ইনসাফ কায়েম হবে। যেমন জিয়ার আমলে হয়েছিল। আয়োজক সংগঠনের সভাপতি মুহাম্মদ সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আজিজুল বারী হেলাল, স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ প্রমুখ।