গত ২৫ নভেম্বর এ মামলায়ই রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় আত্মসমর্পণ করেন আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী। দুপুরে তাকে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুর রহমানের আদালতে হাজির করা হলে আদালতের নির্দেশে তাকে পাঠানো হয়েছে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে। গত ২৮ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসে প্রবাসী টাঙ্গাইল সমিতির সমাবেশে হজ, তাবলিগ জামাত ও প্রধানমন্ত্রীর পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়কে নিয়ে কটূক্তি করেন তৎকালীন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী।
তার এসব মন্তব্য নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় বয়ে যায় পুরো দেশজুড়ে। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে তার বিরুদ্ধে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে দায়ের করা হয় মোট ১৮টি মামলা। এসব মামলার মধ্যে ঢাকার ৭টিসহ মোট ১১টিতে জারি করা হয় গ্রেফতারি পরোয়ানা। গত ১২ অক্টোবর তাকে মন্ত্রিসভা থেকে অপসারণের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। ওইদিনই আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যপদ থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। পরে তার দলের প্রাথমিক সদস্যপদও বাতিল করা হয়।
দীর্ঘদিন বিদেশে অবস্থানের পর ২৩ নভেম্বর রাতে ভারত থেকে দেশে ফেরেন লতিফ সিদ্দিকী। রাত আটটা ৪০ মিনিটে ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছেই আত্মগোপনে চলে যান তিনি। তাকে গ্রেফতার করা নিয়ে নানা নাটকীয়তা তৈরি হলে তাকে গ্রেফতারের দাবিতে ২৫ নভেম্বর সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডাকে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (এনডিএফ)। এছাড়া তাকে গ্রেফতার না করা হলে ২৬ নভেম্বর ইসলামী ঐক্যজোট ও ২৭ নভেম্বর হেফাজতে ইসলাম হরতালের ঘোষণা দিয়ে রাখে। তবে ২৫ নভেম্বর লতিফ সিদ্দিকীর আত্মসমর্পণের পর তাকে কারাগারে পাঠানো হলে এনডিএফ ৪ ঘণ্টা হরতাল কমায় ও অন্যরা হরতাল প্রত্যাহার করে নেয়।