বুধবার, নভেম্বর ৬, ২০২৪
প্রচ্ছদচট্রগ্রাম প্রতিদিনচালু হচ্ছে দুই আন্তঃনগর ট্রেন, লাভজনক ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে একটিও নেই!

চালু হচ্ছে দুই আন্তঃনগর ট্রেন, লাভজনক ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে একটিও নেই!

Train Demuদেশে চালু হচ্ছে নতুন আরও দুটি আন্তঃনগর ট্রেন। তবে নতুন চালু হতে যাওয়া এই ট্রেনগুলোর একটিও পাচ্ছে না দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম নগরী চট্টগ্রাম। ঢাকার সাথে এই নগরের সবচেয়ে বেশি যোগাযোগ প্রয়োজন হয় এবং রেলওয়ের সবচেয়ে লাভজনক ট্রেনটি (সুবর্ণ এক্সপ্রেস) এই রুটে চলাচল করলেও নতুন ট্রেনের সুবিধা পাচ্ছে না চট্টগ্রাম।

ঢাকা-সিরাজগঞ্জ রুটে আন্তঃনগর ট্রেনটি উদ্বোধনের জন্য আগামী ২৭ জুন বৃহস্পতিবার এবং অপর রুটের ঢাকা-মোহনগঞ্জ (নেত্রকোনা) ট্রেনটি আগামী ৩০ জুলাই সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।

শুধুমাত্র কোচ সংকটের কারণে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে ট্রেন চালনা করা যাচ্ছে না জানিয়ে পূর্বাঞ্চলীয় রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) মোহাম্মদ তাফাজ্জল হোসেন বলেন, একেকটি আন্তঃনগর ট্রেনের ১৬ থেকে ১৮টি বগি দিয়ে ট্রেন চালানোর কথা থাকলেও নতুন চালু হতে যাওয়া ট্রেনগুলো ৭ থেকে ৮টি কোচ দিয়ে চালু করতে হচ্ছে। তাই ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে সবচেয়ে বেশি চাহিদা থাকলেও এখনই নতুন ট্রেন চালু করা যাচ্ছে না।

নতুন চালু হতে যাওয়া ট্রেন দুটিতে দেশের কারখানায় মেরামত করা বগি দিয়ে চালানো হবে জানিয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলীয় চিফ অপারেটিং সুপারিনটেনডেন্ট (সিওপিএস) সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘ঢাকা-সিরাজগঞ্জ রুটে একটি আন্তঃনগর ট্রেন উদ্বোধনের জন্য ২৭ বা ২৮ জুন তারিখে উদ্বোধন হতে পারে। তবে রাজনৈতিক বিষয় বিবেচনা করে উদ্বোধনের চূড়ান্ত তারিখ ঘোষণা করা হবে।’

ট্রেনের নাম কি ঠিক করা হয়েছে এ প্রশ্নের জবাবে পশ্চিমাঞ্চলীয় রেলওয়ের সিওপিএস সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘নদী, পাখি বা কোনো মনীষীর নামে নামকরণ করা হতে পারে। তবে এ বিষয়ে রাজননৈতিকভাবে কোনে সিদ্ধান্ত হতে পারে।’

অপরদিকে পশ্চিমাঞ্চল ছাড়াও পূর্বাঞ্চলীয় ঢাকা-নেত্রকোনা রুটে কবে নাগাদ ট্রেন চালু হতে পারে এ প্রশ্নের জবাবে পূর্বাঞ্চলীয় রেলওয়ের সিওপিএস মিয়া জাহান বলেন, ‘কাশবন বা সুমেশ্বরী নামে নতুন এই আন্তঃনগর ট্রেনটি আগামী ৩০ জুলাই চালু হতে পারে। রেলওয়ের কারখানাগুলোতে তৈরি হওয়া বগি দিয়ে এই ট্রেনটি চালু হচ্ছে।’

এদিকে চালু হতে যাওয়া নতুন দুই ট্রেনের একটিও চট্টগ্রাম না পাওয়া প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে চিটাগাং চেম্বারের প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলম বলেন, ‘বাণিজ্যিকভাবে চট্টগ্রাম সবার চেয়ে এগিয়ে এবং ঢাকার সাথে এখানকার ব্যবসায়ীদের যোগাযোগও বেশি। তাই নতুন ট্রেন অন্যান্য অঞ্চলে চালুর পাশাপাশি চট্টগ্রাম অঞ্চলে চালু করা যেত। এতে  বৃহত্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের অধিবাসীরা উপকৃত হতো এবং ব্যবসা বাণিজ্যে চট্টগ্রাম আরও এগিয়ে যেতো পারত। তবে সবার আগে প্রয়োজন ঢাকা-চট্টগ্রাম চারলেন প্রকল্প বাস্তবায়ন।

ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে নতুন ট্রেন চালুর চিন্তা  রয়েছে কি-না এ প্রশ্নের জবাবে পূর্বাঞ্চলীয় রেলওয়ের জিএম তাফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘নতুন ইঞ্জিন এলেও বগি সংকটের কারণে নতুন ট্রেন চালানো সম্ভব হবে না। আর এ কারণে আন্তঃনগর ট্রেনগুলোতে বগির সংখ্যাও কমে গেছে। তাই বগি এলে নতুন ট্রেন চালানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’

উল্লেখ্য, রেলওয়ের পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চলে ৭৮টি আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করছে। আর এদের মধ্যে সবচেয়ে লাভজনক ট্রেন হলো ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে চলাচলকারী সুবর্ণ এক্সপ্রেস।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ