বৃহস্পতিবার, মে ১৬, ২০২৪
প্রচ্ছদচট্রগ্রাম প্রতিদিনপ্রধানমন্ত্রী মুরাদপুর-লালখান বাজার ফ্লাইওভার নির্মাণকাজের উদ্বোধন করবেন বুধবার

প্রধানমন্ত্রী মুরাদপুর-লালখান বাজার ফ্লাইওভার নির্মাণকাজের উদ্বোধন করবেন বুধবার

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামি ১২ নভেম্বর বুধবার মুরাদপুর হতে লালখান বাজার পর্যন্ত ফ্লাইওভার নির্মাণকাজের উদ্বোধন করবেন। এই লক্ষ্যে সিডিএ ব্যাপক প্রস্ত্ততি নিয়েছে। শ্রমিকরা দিনরাত কাজ করছেন। নগরীর মুরাদপুর মোড়ে নির্মাণ করা হচ্ছে ফলক। উদ্বোধনের বিষয়টি নিশ্চিত করে সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম জানান, বুধবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নগরীর মুরাদপুরে কাজের উদ্বোধন করবেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিকতায় চট্টগ্রামবাসী আরো একটি বিশাল প্রকল্পের কাজ শুরু করতে যাচ্ছে। ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামের লালদিঘি ময়দানে এক নির্বাচনী জনসভায় তাঁর বক্তব্যে ঘোষণা দিয়েছিলেন, তার দল যদি নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করতে পারে, তাহলে তিনি চট্টগ্রামের উন্নয়ন নিজ কাঁধে নেবেন। চট্টগ্রামবাসীকে দেয়া সেই প্রতিশ্রুতি তিনি রক্ষা করেছেন। এরই অংশ হিসেবে তার কাছে চট্টগ্রামের উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে কখনও খালি হাতে ফিরতে হয়নি। বরং তিনি নিজেই বড় বড় প্রকল্প নিয়ে তার কাছে যাওয়ার তাগিদ দেন। এমনকি সরকারের বর্তমান মেয়াদেও চট্টগ্রামের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিকতা এতটুকু কমেনি, বরং বেড়েছে। তার অন্যতম প্রমাণ হলো সোয়া পাঁচ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের আরো একটি ফ্লাইওভার অনুমোদন এবং নির্মাণ কাজ শুরু করা, যা চট্টগ্রামের মানুষ কোন দিন কল্পনা করেননি। বিপুল সংখ্যক প্রকল্পের অনুমোদন দিয়ে চটগ্রামবাসীর কাছে তার দেয়া নির্বাচনী অঙ্গীকার পালন করেছেন।

প্রকল্পের পটভূমি : প্রধানমন্ত্রী ২০১০ সালের ২ জানুয়ারি চট্টগ্রামে এসে বহ্দ্দারহাট, মুরাদপুর, ষোলশহর দুই নম্বর গেট, জিইসি এবং কদমতলীসহ পাঁচটি ফ্লাইওভারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন। এরমধ্যে বহ্দ্দারহাট ফ্লাইওভার এখন চালু হয়ে গেছে। এছাড়া দেওয়ানহাট ওভারপাসও চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। অপরদিকে কদমতলী ফ্লাইওভারের কাজ শেষপর্যায়ে। পরবর্তীতে মুরাদপুর, ষোলশহর দুই নম্বর গেট এবং জিইসি, এই তিনটি ফ্লাইওভার একটি প্রকল্পের আওতায় আনা হয়। ২০১০ সালের ১ জুন ১৫০ কোটি টাকার প্রকল্পটি অনুমোদন করা হয়। তখন এর দৈর্ঘ্য ছিল এক দশমিক ৬৬৫ কিলোমিটার। পরে প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রাম সফরকালে মুরাদপুর থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের ঘোষণা দেন। তারই ধারাবাহিকতায় প্রস্তাবিত ওই ফ্লাইওভারের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি করে মুরাদপুর থেকে লালখানবাজার পর্যন্ত নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। সংশোধিত প্রকল্পটি বায়েজিদ সড়কের সাথে সংযোগ রেখে পাঁচ দশমিক দুই কিলোমিটার দীর্ঘ হয়। এর প্রাক্কলিত ব্যয় দাঁড়ায় ৪৬২ কোটি টাকা।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ