শুক্রবার, মে ৩, ২০২৪
প্রচ্ছদলাইফস্টাইলদোরগোড়ায় কড়া নাড়ছে রমজান

দোরগোড়ায় কড়া নাড়ছে রমজান

দোরগোড়ায় কড়া নাড়ছে রমজান। সিয়াম সাধনার পবিত্র মাস- রমজান। রমজান ও তৎপরবর্তী ঈদুল ফিতর ধর্ম-বর্ণ-গোত্র-জাতি ছাপিয়ে সর্বজনীন গণউৎসবে রূপানত্মরিত হয়েছে। কৃচ্ছ্রতা ও সংযম প্র্যাকটিসের এই মাস রমজান এবং ঈদের বিকিকিনি, অর্থনৈতিক প্রবাহ আমাদের সমাজ ও রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় একটি অতীব গুরম্নত্বপূর্ণ বিষয়। এ প্রসঙ্গ উত্থাপিত হলো এ কারণে যে, গতকাল চাটগাঁর অগ্রগামী পাঠকের মুখপত্র দৈনিক পূর্বদেশ-এ যে সত্মম্ভ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে তার নিরিখে ফি-বছরের নৈমিত্তিক যানজটের দুর্ভোগ বিধৃত হয়েছে বরাবরের মতো। প্রতিবেদক উলেস্নখ করেছেন,যানজটে ইতোমধ্যে স্থবির হয়ে পড়েছে নগরী এবং আসন্ন রমজানে এর তীব্রতা বৃদ্ধির আশংকা প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিবেদক উলেস্নখ করেছেন, অফিস চলাকালীন যানজটের তীব্রতা বাড়ে। তীব্র যানজটে স্থবির হয়ে যায় জিইসি মোড়, দুই নম্বর গেট, ওয়াসা মোড়, গোলপাহাড় মোড়, টাইগারপাস মোড়, নিউমার্কেট, কদমতলী মোড়, আন্দরকিলস্না মোড়, বক্সিরহাট পয়েন্ট, চকবাজার, বহাদ্দারহাট, আরাকান রোড, একে খান মোড়সহ অধিকাংশ জংশন। এছাড়া বন্দর অঞ্চলের দেওয়ানহাট, বাদামতলী মোড়, সল্টগোলা ক্রসিং, নিমতলা, কাঠগড়, বিমানবন্দর সড়ক, পোর্ট কানেকটিং রোডসহ বিভিন্নস্থানেও সৃষ্টি হয় প্রচ- যানজট। এর মধ্যে নগরীর ট্রাফিক ব্যবস্থা সুশৃঙ্খল, সুনিয়ন্ত্রিত ও আরো গতিশীল করার জন্যে সিএমপির ট্রাফিক বিভাগ বন্দর ও উত্তর অঞ্চল- দুই ভাগে ভাগ করলেও, আশানুরূপ ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে না। ট্রাফিক পুলিশের সেবা দ্রম্নত ও নিশ্চিত করার এ পদড়্গেপ ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়। এছাড়া আগ্রাবাদ বাদামতলী মোড়কে যানজটমুক্ত করার পাইলট প্রকল্পের আওতায় গত বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে যানজট মুক্ত করার ঘোষণা দেওয়া হলেও এর সুফল কতোটুকু আসবে তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে খোদ ট্রাফিক বিভাগেই। ব্যাপরটা হলো- আমাদের দেশের সরকারি প্রকল্পগুলোর যথোপযুক্ততা নিয়ে যথেষ্ট অস্বচ্ছতা যেখানে স্বতঃসিদ্ধ, সেই সংস্কৃতির আলোয় ও ধারাবাহিকতায়, এ আর এমন বিচিত্র কী? ৬০ লড়্গ জনঅধ্যুষিত বন্দরনগরী বা বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রাম দ্রম্নত বিকাশমান একটি নগরী। বেড়ে যাচ্ছে ব্যবসা-বাণিজ্য। দেশি-বিদেশি মানুষের সমাগম হচ্ছে এই মহানগরীতে। তাই জনজট-এর সঙ্গে সঙ্গত কারণেই যানজটও সৃষ্টি হচ্ছে। ট্রাফিক বিভাগ সূত্র থেকে অবগত হওয়া গেছে যে, ১৯৭৮ সালে সিএমপি বা চিটাগাং মেট্রোপলিটন পুলিশ বা নগর পুলিশের যাত্রা শুরম্ন। বর্তমানে বর্ধিষ্ণু এই মহানগরীর আয়তন ১ শত ৫২ কিলোমিটার। নগরীতে রযেছে ৮৭টি অতি গুরম্নত্বপূর্ণ ক্রসিং ছাড়াও ১ শত ৮৭টি জংশন। মহানগরীতে এখন চলমান যানবাহনের সংখ্যা প্রায় দুই লড়্গ। আসন্ন রমজান ও ঈদ উৎসব কেন্দ্র করে নামবে আরো ১ লড়্গের মতো যান- যার বেশির ভাগই রিক্‌্‌শা এবং অবৈধ। দেশের প্রানিত্মক স্থান থেকে, বিশেষ করে উত্তরবঙ্গের অভাবী মানুষজন দলে দলে ছুটে আসে এই বন্দরনগরীতে। ফলত মাত্রাতিরিক্ত চাপে স্ট্যান্ডস্টিল বা স্থবির হয়ে যায় নগরীর ট্রাফিক ব্যবস্থা। প্রতি বছরের প্রত্যড়্গ অভিজ্ঞতা থেকে, তা আমরা জানি। তাই, এখন আসন্ন উৎসব, পবিত্র ও সিয়াম সাধনার মাসে মানুষের জীবনযাত্রায় স্বসিত্ম ও স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে আনার জন্যে নগরীর ট্রাফিক ব্যবস্থা বিন্যসত্ম হওয়া প্রয়োজন। এবং, যেকোনো মূল্যেই যানজট দূর করতে হবে।
যানজট দূর করতে হবে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ