সুরঞ্জিত বলেন, লতিফ সিদ্দিকীর পদত্যাগ করা উচিত ছিল। কিন্তু তিনি পদ আঁকড়ে ছিলেন। তার পদত্যাগ না করাটা দুর্ভাগ্যজনক। এটি (অপসারণ) সহজ ব্যপার ছিল না। প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত শালীনতা ও ধৈর্য্যের সঙ্গে বিষয়টির মীমাংসা করেছেন। আমাদের সংসদীয় রাজনীতিতে এ ধরনের ঘটনা এবারই প্রথম। লতিফ সিদ্দিকীর সদস্যপদ থাকবে কি না এ প্রসঙ্গে সাংবিধানিক ব্যাখ্যা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ সম্পর্কে দলের সাধারণ সম্পাদক কথা বলেছেন। তিনি একইসঙ্গে দলের নীতি নির্ধারক ও মন্ত্রী অর্থাৎ সরকারেরও নীতি নির্ধারক। তার বক্তব্যের বিরুদ্ধে বক্তব্য দেওয়ার ধৃষ্ঠতা আমার নেই। আমি শুধু সাংবিধানিক ব্যাখা দিতে পারি। আমার দৃষ্টিতে তার সংসদ সদস্যপদ যাওয়ার মত কিছু হয় নাই। তবে পণ্ডিত ব্যক্তিরা বা হাইকোর্ট-সুপ্রিম কোর্ট এর ব্যাখ্যা দিতে পারে।
সুরঞ্জিত বলেন, লতিফ সিদ্দিকীর নির্বাচনী এলাকা শূন্য হয়েছে বলে ঘোষণা করা মুশকিল হবে। তিনি পদত্যাগ করলে তা বলা যেতো কিন্তু তিনি তো পদ ধরে রেখেছেন। একজন রাজনীতিকের মূল পরিচয় জনসমর্থন। তিনি যেসব কথা বলেছেন তাতে তার জনসমর্থন নেই। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, রাজনীতিকদের জীবনে এমন ঘটনা ঘটে। সকলকে এ বিষয়ে দায়িত্ব নিয়ে ঠাণ্ডা মাথায় এগুতে হবে। সুরঞ্জিত আরও বলেন, আমরা আবারও প্রমাণ করেছি আওয়ামী লীগ ধর্মনিরপেক্ষ কিন্তু ধর্মহীন দল নয়। কৃষকলীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক নাজির মিয়ার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সামছুল হক টুকু, আওয়ামী লীগ নেতা ফয়েজ উদ্দিন মিয়া, বারিস্টার জাকির আহমেদ প্রমুখ।