শুক্রবার, মে ১৭, ২০২৪
প্রচ্ছদরাজনীতিসাড়ে ১৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ মামলার তদন্তে মীর্জা আব্বাসকে জিজ্ঞাসাবাদ

সাড়ে ১৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ মামলার তদন্তে মীর্জা আব্বাসকে জিজ্ঞাসাবাদ

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন সমবায় সমিতি লিমিটেডকে প্লট বরাদ্দ দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো রকম অনিয়ম হয়নি বলে দাবি করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী মীর্জা আব্বাস। রোববার বিকেলে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। ২০০৬ সালে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের (এনএইচএ) কর্মকর্তারা ক্ষমতার অপব্যবহার করে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন সমবায় সমিতিকে বাজার মূল্যের চেয়ে কম মূল্যে প্লট বরাদ্দ দেন। সেসময় গণপূর্তমন্ত্রী ছিলেন মির্জা আব্বাস। আলমগীর কবির ছিলেন এ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী।

গত ৬ মার্চ রাজধানীর শাহবাগ থানায় আলমগীর কবিরসহ তিনজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করে দুদক। এ মামলার তদন্তের প্রয়োজনে দুদক মির্জা আব্বাসকে তলব করে। রোববার দুদক থেকে বের হওয়ার পর মীর্জা আব্বাস সাংবাদিকদের বলেন, সরকার তাদের (আওয়ামী লীগের), তাই তারা যা করেন তা সবই বিধিভুক্ত হয়ে যায়। আর যারা সরকারে নেই, তাদের সবই বিধিবহির্ভুত হয়। নকশা বাতিল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সরকার চাইলে নকশা করতে পারে আবার সরকার চাইলে নকশা বাতিল করতে পারে। এখানে গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের নকশা পছন্দ না হলে তারা নকশা বাতিল করতেই পারে।

বাজার মূল্যের চেয়ে কম মূল্যে সাংবাদিকদের প্লট বরাদ্দ দেওয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা বিধি মোতাবেক করতে বলেছি। এখন গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ যদি না করে তাহলে তো আর আমার কিছু করার নেই। তাকে হয়রানি করা হচ্ছে কী না জানতে চাইলে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের মন-মানসিকতা কী তা আপনারা ভালো করেই জানেন।

এদিকে একই ঘটনায় নৌমন্ত্রী শাজাহান খানকেও এদিন স্বাক্ষী হিসেবে তার বক্তব্য নিয়েছে দুদক। দুদকের উপ-পরিচালক যতন কুমার রায় তাদের জিজ্ঞসাবাদ করেছেন।  জিজ্ঞাসাবাদ শেষে দুদকের এ কর্মকর্তা জানান, প্রায় সাড়ে ১৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ মামলার তদন্তে মীর্জা আব্বাসকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তবে তিনি প্রস্তুত ছিলেন না। তিনি দু-এক দিন সময় চেয়েছেন।

সূত্র আরও জানায়, গৃহায়ন প্রতিমন্ত্রী থাকাকালে ২০০৬ সালে আলমগীর কবিরের হস্তক্ষেপে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের (এনএইচএ) কর্মকর্তারা ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির মাধ্যমে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন সমবায় সমিতি লিমিটেডকে বাজার মূল্যের চেয়ে কম মূল্যে প্লট বরাদ্দ দেন। ১৮ কোটি ৯১ লাখ ৩০ হাজার ৯০০ কোটি টাকা মূল্যের সরকারি সাত একর সম্পত্তি তিন কোটি ৩৮ লাখ ৮০ হাজার টাকা মূল্যে বরাদ্দ দিয়ে সরকারের ১৫ কোটি ৫২ লাখ ৫০ হাজার ৯০০ টাকা ক্ষতিসাধনপূর্বক আত্মসাতের অভিযোগে গত ৬ মার্চ রাজধানীর শাহবাগ থানায় একটি মামলা (মামলা নং-১১) দায়ের করা হয়। প্রতিমন্ত্রী আলমগীর কবির ছাড়া মামলার বাকি আসামিরা হলেন জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের সদস্য (ভূমি ও সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা) মো. আজহারুল হক, মুনসুর আলম ও মতিয়ার রহমান।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ