সংবাদ সম্মেলনে মাওলানা জাফরুল্লাহ খান বলেন, লতিফ সিদ্দিকী ইসলাম বিরোধী এই বক্তব্য দিয়ে কুখ্যাত মুরতাদ সালমান রুশদি ও তসলিমা নাসরিনকেও হার মানিয়েছে। তিনি বলেন, এই সরকার জনগণকে ধোকা দিয়ে মন্ত্রিপরিষদ থেকে সিদ্দিকীকে অপসারণ করেছে মাত্র। দেশবাসী জানে এটা চালাকির রাজনীতি। ইসলাম সম্পর্কে তার এই কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দিয়ে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের দায়ে অবিলম্বে তাকে গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনার এবং এই বিষয়ে আইন প্রণয়ন করার দাবি জানাচ্ছি।
মাওলানা মুহাম্মদ জাফরুল্লাহ খান বলেন, সরকার ১৫ অক্টোবরের মধ্যে লতিফ সিদ্দিকিকে গ্রেফতার না করলে ২৬ অক্টোবর হরতাল ঘোষণা করা হলো। এছাড়াও আগামী শুক্রবার দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচিও ঘোষণা করা হচ্ছে। পাশাপাশি হেফাজত ইসলামের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবারের বিক্ষোভ কর্মসূচির প্রতি সমর্থন করা হয় বলেও জানান তিনি। মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুল লতিফ সিদ্দিকী রোববার নিউইয়র্কে টাঙ্গাইল সমিতির এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে নিজেকে হজের বিরোধী বলে পরিচয় দেন।
তিনি বলেন,‘হজে জনশক্তি নষ্ট হয়। হজের জন্য ২০ লাখ লোক সৌদি আরবে গেছেন। এদের কোনো কাজ নাই। কোনো প্রোডাকশন নাই। শুধু খাচ্ছে আর দেশের টাকা বিদেশে দিয়ে আসছে।’ পরে তার এই বক্তব্য দেওয়া ভিডিওটি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় উঠে।