রুহুল কবীর রিজভী বলেন, ভোটের সময় প্রধানমন্ত্রী বোরকা, তসবি হাতে নিয়ে মানুষের কাছে ভোট চেয়েছেন। আর মন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছে তাতে তাদের আসল চেহারা প্রকাশ পেয়েছে। ধর্মের প্রতি তাদের কোনো শ্রদ্ধাবোধ নেই। তিনি আরও বলেন, প্রত্যেক ধর্মের প্রতি সবার শ্রদ্ধাবোধ থাকা উচিত। কারও ধর্মের প্রতি আঘাত করা উচিত নয়। বক্তব্য দিয়ে তিনি নবীজিসহ সমগ্র মুসলিম জাতিকে অপমাণিত করেছেন। এদিকে, প্রধানমন্ত্রী নিউইয়র্কে খালেদা জিয়ার সাথে আলোচনায় বসা নিয়ে যে মন্তব্য করেছেন তা সঠিক নয়। কারণ তার মনের রাখা উচিত জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে যত বড় স্বৈরাচারিই হোক না কেন কেউ টিকে থাকতে পারেনি। জনগণের ডাকে সাড়া না দিলে এবং জনগণের ভাষা বোঝার চেষ্টা না করলে তার পরিণতি যা হওয়ার তা হবে।
রাজশাহীতে পুলিশ সদস্য সিদ্ধার্থ সরকার হত্যাসহ দুই মামলায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মিজানুর রহমান মিনু, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল ও বিএনপির বিশেষ সম্পাদক এবং জেলা সভাপতি অ্যাডভোকেট নাদিম মোস্তফাসহ ৮৯ জন বিএনপি ও জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে যে চার্জশিট (অভিযোপত্র) দাখিল করা হয়েছে তা অবিলম্বে প্রত্যাহার করার দাবি জানিয়েছেন রুহুলক কবীর রিজভী। এ সময় তিনি ছাত্র দল নেতা হাবীবের মুক্তিও দাবি করেন। তিনি বলেন, নির্যাতন, গুম, খুন করে বিএনপিকে কেতৃত্ব শূন্য করার চেষ্টা করছে আওয়ামী লীগ। তাদের উদ্দেশ্য হলো ক্ষমতা স্থায়ী করা। কিন্তু তাদের সে আশা কোনোদিন পূরণ হবে না। প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, কোনো স্বৈরাচার দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকতে পারেনি। আপনিও পারবেন না। এ সময় তিনি প্রধানমন্ত্রীকে খুনি উল্লেখ করে বলেন, সারাদেশে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে বিএনপি নেতা খুন, গুম হচ্ছে। বিএনপি’র বিরুদ্ধে তারা অপপ্রচার করছে।