শুক্রবার, এপ্রিল ২৬, ২০২৪
প্রচ্ছদদেশজুড়েপুলিশ কনস্টেবল সিদ্ধার্থ হত্যা মামলায় মিনু-নাদিম-বুলবুলসহ ৮৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র

পুলিশ কনস্টেবল সিদ্ধার্থ হত্যা মামলায় মিনু-নাদিম-বুলবুলসহ ৮৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র

রাজশাহীতে পুলিশ কনস্টেবল সিদ্ধার্থ হত্যা মামলায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মিজানুর রহমান মিনু, বিশেষ সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সভাপতি নাদিম মোস্তফা ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলসহ ৮৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করা হয়েছে। আগামীকাল মঙ্গলবার রাজশাহী মহানগর বিচারিক হাকিম আদালতে অভিযোগপত্র উপস্থাপন করা হবে। আজ সোমবার আদালত সূত্রে এ খবর জানা গেছে। রাজশাহী মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নূর হোসেন খন্দকার তদন্ত শেষে গতকাল রোববার সন্ধ্যায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন। এতে মামলার এজাহারের ৮৮ জনের সবারই নাম রয়েছে। একই সঙ্গে তদন্তে আরও একজনের নাম যুক্ত হয়েছে। ৮৮ জনের মধ্যে দুজনের নাম-ঠিকানা পাওয়া যায়নি।

৫ জানুয়ারির নির্বাচন প্রতিহত করতে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোটের আন্দোলন চলাকালে ২৬ ডিসেম্বর ১৮ দলের মিছিল শেষে নগরের রাজারহাতা এলাকায় লোকনাথ স্কুলের পাশে পুলিশের গাড়িতে বোমা হামলা হয়। এতে নয়জন পুলিশ আহত হন। তাঁদের মধ্যে রাজশাহী মহানগর পুলিশের দাঙ্গা নিয়ন্ত্রণ বিভাগের কনস্টেবল সিদ্ধার্থ চন্দ্র সরকারের অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল। তাঁকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় পাঠানো হয়। পরদিন ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়।

১৮-দলীয় জোটের নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল শেষে ফেরার পথে আহত ব্যক্তিদের মধ্যে অন্যরা হলেন আনন্দ কুমার সাহা, আসাদুজ্জামান, শাহরিয়ার, তৌহিদুল ইসলাম, রায়হান, রাফি, আব্দুল মজিদ ও সোহেল। বোমা বিস্ফোরণের পর পুলিশের গাড়ির ভেতরে লোহার পেরেক, মাছ ধরার জালে ব্যবহৃত লোহার কাঠি, পাথরের টুকরা, টিনের কুচি পাওয়া যায়।

২৭ ডিসেম্বর নগরের বোয়ালিয়া মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে ১৮ দলের সাড়ে ৩০০ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে দুটি মামলা দায়ের করেন। এর মধ্যে একটি হত্যা মামলা ও আরেকটি মামলা ছিল বিস্ফোরকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে। পরে হত্যা মামলাটি রাজশাহী মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এই হত্যা মামলায় আজ অভিযোগপত্র উপস্থাপন করা হবে। অভিযোগপত্রে রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল হক, মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি ইমাজ উদ্দিন মণ্ডল, মহানগর জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি আ স ম মামুন শাহিন, মাইনুল ইসলাম ও মাহবুব হাসানেরও নাম রয়েছে।

কনস্টেবল সিদ্ধার্থ চন্দ্র সরকার ও তাঁর স্ত্রী দীপ্তি রানী দুজনই রাজশাহী মহানগর পুলিশের দাঙ্গা দমন বিভাগে কর্মরত ছিলেন। সিদ্ধার্থের বাড়ি রংপুরের কাউনিয়া উপজেলায়। আর দীপ্তির বাড়ি পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায়। সহকর্মীরা জানান, দুজনেই হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান। সিদ্ধার্থ তাঁর তিন ভাইয়ের মধ্যে সবচেয়ে বড়। দীপ্তির আরেকটি ছোট ভাই রয়েছে। দুজনের বাবা দরিদ্র কৃষক। তাঁরা দুজনে মিলেই দুই পরিবারের ব্যয়ভার বহন করতেন।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ