শনিবার গুলশানে খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে জোটের এক বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলনে হরতালের এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ৫ জানুয়ারীর নির্বাচনের পর এটাই প্রথম হরতাল কর্মসূচি বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের। হরতালে নাশকতা মোকাবেলায় চট্টগ্রাম নগরী ও জেলায় কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। নগরী ও জেলায় পুলিশের পাশাপাশি বিজিবিও মোতায়েন আছে।
সোমবার হরতাল কর্মসূচির শুরু থেকেই নগরীতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সতর্ক প্রহরা রয়েছে। সকাল ৬টায় হরতাল শুরু হওয়ার পর থেকে নগরী কিংবা জেলায় কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। হরতালে সড়কে রিকশা চলাচল করলেও অন্যান্য গণপরিবহন চলাচল খুবই কম দেখা গেছে। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গাড়ির সংখ্যাও বাড়তে থাকে।
নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (সদর) মাসুদ-উল-হাসান বলেন, নগরীর মোড়ে মোড়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন আছে। নগরজুড়ে টহল জোরদার করা হয়েছে। বিজিবি প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রয়োজন হলেই তাদের মাঠে নামানো হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নগরীতে প্রাথমিকভাবে ৬ প্লাটুন অর্থাৎ ১৮০জন বিজিবি সদস্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আর জেলায় ১০ প্লাটুন অর্থাৎ তিন‘শ বিজিবি সদস্য মোতায়েন রয়েছে। চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার একেএম হাফিজ আক্তার বলেন, স্পর্শকাতর উপজেলাগুলোতে বিজিবি মোতায়েন আছে। সব উপজেলায় অতিরিক্ত পুলিশ আগে থেকেই মোতায়েন আছে। নগর পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, নিয়মিত ও অতিরিক্ত পুলিশসহ প্রায় আড়াই হাজার পুলিশ নগরীর বিভিন্ন স্পর্শকাতর পয়েন্টে দায়িত্ব পালন করছেন। জেলায়ও প্রায় দু’হাজার অতিরিক্ত পুলিশ হরতালে দায়িত্ব পালন করছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
এদিকে কর্মক্ষেত্রে যাবার জন্য ভোর থেকে কর্মজীবী মানুষ রাস্তায় নামলেও গণপরিবহনের অভাবে তাদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক আছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে। রোববার জামায়াতের ২৪ ঘণ্টা হরতালের শেষ হওয়ার পর ২০ দলীয় জোটের হরতাল শুরু হওয়ায় সকাল থেকে দুর পাল্লার কোন বাস চট্টগ্রাম ছেড়ে যেতে পারেনি। বারআউলিয়া হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন,’ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সকালে চট্টগ্রামগামী কিছু দুরপাল্লার বাস চলাচল করতে দেখা গেছে। এছাড়া ঢাকাগামী পণ্যবাহী ট্রাক কিংবা যাত্রীবাহী বাস চলাচল করতে দেখা যায়নি।’