শনিবার, মে ৪, ২০২৪
প্রচ্ছদচট্রগ্রাম প্রতিদিনবৃষ্টির মধ্যে চলছে জামায়াতের দ্বিতীয় দফার ঢিলেঢালা হরতাল

বৃষ্টির মধ্যে চলছে জামায়াতের দ্বিতীয় দফার ঢিলেঢালা হরতাল

বৃষ্টিতে বন্দরনগরী চট্টগ্রামে জামায়াত ইসলামীর ডাকে দ্বিতীয় দফায় ২৪ ঘণ্টার হরতাল চলছে। বুধবার সকালে দলটির শীর্ষস্থানীয় নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর আমৃত্যু কারাদণ্ডের রায় দেওয়ার পর দলটি বৃহস্পতি ও রোববার সারাদেশে মোট ৪৮ ঘণ্টার হরতালের কর্মসূচি ঘোষণা করে। হরতালে নাশকতা মোকাবেলায় চট্টগ্রাম নগরী ও জেলায় কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। নগরী ও জেলায় পুলিশের পাশাপাশি বিজিবিও মোতায়েন আছে।

রোববার দ্বিতীয় দিনের হরতাল কর্মসূচির শুরুতে নগরীতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সতর্ক প্রহরা দেখা গেছে। ভোর থেকে শুরু হয়েছে টানা বৃষ্টি। বৃষ্টিতে এমনিতে রাস্তায় যানবাহন স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় কম। তবে অন্যান্য হরতালে যেভাবে প্রথম পর্যায়েই ভাঙচুর কিংবা ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে, নগরী কিংবা জেলায় তেমন কোন ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। কোন পিকেটারও চোখে পড়েনি। হরতালে সড়কে গণপরিবহন চলাচল খুবই কম দেখা গেছে। বৃিষ্টর কারণে রিকশা চলাচলও কম। এছাড়া ব্যক্তিগত গাড়ি একেবারেই চোখে পড়েনি।

নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (সদর) মাসুদ-উল-হাসান  বলেন, নগরীর মোড়ে মোড়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন আছে। নগরজুড়ে টহল জোরদার করা হয়েছে। বিজিবি প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রয়োজন হলেই তাদের মাঠে নামানো হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নগরীতে প্রাথমিকভাবে ৬ প্লাটুন অর্থাৎ ১৮০জন বিজিবি সদস্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আর জেলায় ১০ প্লাটুন অর্থাৎ তিন‘শ বিজিবি সদস্য মোতায়েন রয়েছে।

চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার একেএম হাফিজ আক্তার বলেন, স্পর্শকাতর উপজেলাগুলোতে বিজিবি মোতায়েন আছে। সব উপজেলায় অতিরিক্ত পুলিশ আগে থেকেই মোতায়েন আছে। নগর পুলিশের এক কর্মকর্তা  জানান, নিয়মিত ও অতিরিক্ত পুলিশসহ প্রায় আড়াই হাজার পুলিশ নগরীর বিভিন্ন স্পর্শকাতর পয়েন্টে দায়িত্ব পালন করছেন। জেলায়ও প্রায় দু’হাজার অতিরিক্ত পুলিশ হরতালে দায়িত্ব পালন করছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

এদিকে কর্মক্ষেত্রে যাবার জন্য ভোর থেকে শ্রমজীবী মানুষ রাস্তায় নামলেও গণপরিবহনের অভাবে তাদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বৃষ্টিতে এ দুর্ভোগ আরও বেড়েছে। ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক আছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে। তবে সকাল থেকে দুর পাল্লার কোন বাস চট্টগ্রাম ছেড়ে যায়নি। বারআউলিয়া হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন,’ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সকালে চট্টগ্রামগামী কিছু দুরপাল্লার বাস চলাচল করতে দেখা গেছে। এছাড়া ঢাকাগামী পণ্যবাহী ট্রাক কিংবা যাত্রীবাহী কোন বাস চলাচল করতে দেখা যায়নি।’

আরও পড়ুন

সর্বশেষ