বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৪
প্রচ্ছদঅর্থ ও বানিজ্য সময়তরুণরাই জ্ঞান, তথ্য ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির চালিকাশক্তি হয়ে গড়ে উঠবে

তরুণরাই জ্ঞান, তথ্য ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির চালিকাশক্তি হয়ে গড়ে উঠবে

ব্যাংক হিসাবধারী তরুণরাই জ্ঞান, তথ্য ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির চালিকাশক্তি হয়ে গড়ে উঠবে। শৈশব থেকে আর্থিক সেবার সঙ্গে সম্পৃক্ততা, আর্থিক শিক্ষার প্রসার এবং প্রবৃদ্ধি অর্জনে দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠীকে ব্যাংকিংয়ের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে। স্কুল ব্যাংকিং তারই একটি অংশ। শনিবার রাজশাহীতে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রাঙ্গনে অনুষ্টিত স্কুল ব্যাংকিং কনফারেন্সে বক্তারা এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের গ্রিন ব্যাংকিং অ্যান্ড সিএসআর বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত কনফারেন্সে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এর উদ্বোধন ঘোষণা করেন ডেপুটি গভর্নর এস. কে সুর চৌধুরী।

তিনি বলেন, স্কুল ব্যাংকিং ব্যতিক্রমধর্মী ব্যাংকিং। এর মাধ্যমে কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে সঞ্চয়ী মনোভাব গড়ে উঠবে। এ ব্যাংকিংয়ে অভাবনীয় সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। তাই ইতোমধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে পাঠ্যক্রমে স্কুল ব্যাংকিং অন্তর্ভূক্ত করার বিষয়ে চেষ্টা চলছে।

কনফারেন্সে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ম. মাহফুজুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ ব্যাংক রাজশাহীর নির্বাহী পরিচালক জিন্নাতুল বাকেয়া, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোফাজ্জল হোসেন, স্কুল ব্যাংকিং কনফারেন্স প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব ও রূপালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের মহাব্যবস্থাপক দেবাশীষ চক্রবর্তী।

কনফারেন্সে জানানো হয়, ছয় থেকে ১৮ বছর বয়সী ছেলে-মেয়েরা একশ টাকা দিয়ে ব্যাংক হিসাব খুলতে পারবে। এ হিসাব পরিচালনার জন্য তাদের কোনও সার্ভিস চার্জ দিতে হবে না। ২০১০ সালের ২ নভেম্বর স্কুল ব্যাকিং বিষয়ে একটি পরিপত্র জারি করা হয়ে। ২০১৪ সালের জুন পর্যন্ত এ ব্যাংকিংয়ের আওতায় ৬ লাখ ৩৯ হাজার ছাত্রছাত্রী হিসাব খুলেছে এবং সঞ্চয় স্থিতি দাঁড়িয়েছে ৪০৭ কোটি টাকা।

২০১৩ সালের ২০ এপ্রিল বাংলাদেশ ব্যাংক ট্রেনিং একাডেমিতে প্রথম কনফারেন্সের পর রংপুর, চট্টগ্রাম, খুলনা ও সিলেটে অনুষ্ঠিত হয় স্কুল ব্যাংকিং কনফারেন্স। এর ধারাবাহিকতায় আজ রাজশাহীতে এ কনফারেন্স হয়। এতে মহানগরের ৩৭টি স্কুল ও সরকারি বেসরকারি ব্যাংকগুলো অংশ নেয়। কনফারেন্সে স্কুল ব্যাংকিং বিষয়ক ভিডিওচিত্র ‘স্বপ্ন’ প্রদর্শন করা হয়। পরে রাজশাহীর স্থানীয় ও ঢাকার শিল্পীদের নিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুতুল নাচের আয়োজন করা হয়। এছাড়া কুইজ প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় আগত শিক্ষার্থীরা।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ