রাজধানীর মগবাজারের আলোচিত ট্রিপল মার্ডার মামলার প্রধান আসামি কালাবাবু ওরফে কাইল্যা বাবু গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, রোববার দিনগত গভীর রাতে রমনার থানাধীন ওয়ারলেস এলাকার বেপারি গলিতে ওই বন্দুকযুদ্ধ হয়। এতে ক্রসফায়ারে পরে কালাবাবু আহত হন। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সোমবার ভোরে তার মৃত্যু হয়। পরে ট্রিপল মার্ডার মামলার বাদী মো.শামীম হোসেন ওরফে কালা চান ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কালাবাবুর লাশ সনাক্ত করেন।পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার সময় কালাবাবুর পরিচয় নিশ্চিত ছিলো না গোয়েন্দা পুলিশের দলটি। রমনা থানার ওসি মশিউর রহমান জানান, এ ঘটনায় কালাবাবুর দুই সহযোগীকে আটক করা হয়েছে। রমনা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান খান জানান, গভীর রাতে সন্ত্রাসীদের একটি দল ছিনতাইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছিলো। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ডিবি পুলিশের একটি দল সেখানে যায়। তখন পুলিশের উপর গুলি চালায় সন্ত্রাসীরা। পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এসময় ‘ক্রসফায়ারে’ পড়ে আহত হন কালাবাবু। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে ভোর ৫টার দিকে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল ও সাত রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানায় পুলিশ।
এ ঘটনায় ডিবির এক সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) ও কনস্টেবল সামান্য আহত হন। আহতদের রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বলে জানান মিজানুর রহমান খান। গত ২৮ আগস্ট রাতে রাজধানীর মগবাজারের ওয়ারলেস গেট এলাকার সোনালীবাগে রেলের জায়গার দখলদারিত্ব নিয়ে সন্ত্রাসীদের গুলিতে তিনজন নিহত হন। শীর্ষ সন্ত্রাসী কালাবাবু বাহিনীর ওই ঘটনা ঘটায় বলে পুলিশের নথিতে উল্লেখ রয়েছে।
সে রাতে সন্ত্রাসীরা সোনালীবাগের ৭৮ নম্বর বাড়িতে ঢুকে ওই বাড়ির ভাড়াটিয়া বিল্লাল হোসেন (২২), মুন্না (২০) ও বৃষ্টিকে (৩২) গুলি করে হত্যা করে বলে মামলায় অভিযোগ করেছিলেন বাদী কালা চান।