এদিকে, আহত শিক্ষকরা হলেন ফলিত পদার্থবিদ্যা, ইলেকট্রনিকস ও কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সাবরিনা আলম, প্রাণরসায়ণ ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের সোনম, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শিরীন আরা চৌধুরী, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ, মার্কেটিং স্টাডিজ অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ তৈয়ব চৌধুরী, পালি বিভাগের সুদীপ্ত বড়ুয়া, নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক মো. আশরাফুজ্জামান, সমাজতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষক ফাতেমা-তুজ-জোহরা ও বাংলাবিভাগের আনোয়ার সাঈদ। এছাড়া হিসাববিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী অমৃতনাথ, চালক মাহবুব ও আরিফও আহত হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, বুধবার সকালে শিক্ষকদের বহনকারী বাসটি চট্টগ্রাম নগরী থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে ছড়ারকুল এলাকায় পৌঁছালে আগে থেকেই সেখানে ওঁত পেতে থাকা শিবিরকর্মীরা বাসের সামনে অবরোধ সৃষ্টি করে ভাঙচুর শুরু করে। এ সময় শিক্ষকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে তারা কয়েকটি ককটেল ফাটিয়ে পালিয়ে যায়। এ বিষয়ে ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ জানান, শিক্ষকদের বহনকারী বাসটি ছড়ারকুল এলাকায় পৌঁছালে রাস্তার দু’পাশ থেকে ১৫-২০ জন শিবিরকর্মী এলোপাথাড়ি ইট-পাথর ছুড়তে থাকে। এরপর তারা লাঠিসোঁটা নিয়ে বাসে হামলা চালায়। ৫-৬টি ককটেলও ছোড়ে তারা। এসময় পাথর ও গাড়ির ভাঙা কাচের আঘাতে শিক্ষকরা আহত হন। শিবিরকর্মীরাই এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে দাবি করেছেন এ শিক্ষক।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সিরাজ-উদ-দৌল্লাহ বলেন, আহত শিক্ষকদের উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসাকেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশফাঁড়ির দায়িত্বরত নায়েক আবুল বাশার বলেন, আহত শিক্ষকদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ক্যাজুয়ালিটি ওয়ার্ডে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। চবির হলে বৈধ ছাত্রদের অবস্থানের দাবিতে ১০ দিনেরও বেশি সময় ধরে ‘সাধারণ শিক্ষার্থী’-এর ব্যানারে ইসলামী ছাত্রশিবিরের ধর্মঘট চলছে। এ সময় কয়েকবার বিশ্ববিদ্যায়ের শাটল ট্রেন ও শিক্ষক বাসে ককটেল হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে।