খালেদা জিয়া আদালতে উপস্থিত হতে না পারায় তার জন্যও সময় চাওয়া হয়। তিনি জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক ও কার্যক্রমে ব্যস্ত থাকায় আদালতে হাজির হতে পারেন নাই বলে তার আবেদনে উল্লেখ করেন। খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন তার আইনজীবী মাহবুব উদ্দিন খোকন, সানাউল্লাহ মিয়া, মাসুদ আহমেদ তালুকদারসহ অন্যরা। দুদকের পক্ষে ছিলেন মোশাররফ হোসেন কাজল।
খালেদা জিয়ার অন্যতম আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া জানান, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে মামলার কার্যক্রম ও মামলার বিচারক নিয়োগের প্রক্রিয়া নিয়ে করা চারটি আপিল শুনানির জন্য অপেক্ষমাণ থাকায় গত ৩ সেপ্টেম্বর বিচারিক আদালত সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ পিছিয়ে দিয়েছিলেন। বর্তমানে আপিল বিভাগে দু’টি আপিলের শুনানি চলছে এবং বাকি দু’টির শুনানির জন্য অপেক্ষমাণ। তাই একই কারনে বুধবারও সাক্ষ্যগ্রহণ পেছাতে সময়ের আবেদন করা হয়। একই কারণে এর আগে ৫ বার সাক্ষ্যগ্রহণ পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন, হারিছ চৌধুরীর সাবেক একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান ও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার অন্য আসামিরা হচ্ছেন মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল। মামলার অপর আসামি বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষে তার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া আদালতে হাজিরা দেবেন।