কাজী রকিবুদ্দিন আহমেদ বলেন, টেকনোলজির ব্যবহার আমাদের দেশেই নয় সারা বিশ্বে স্বীকৃত। উন্নত ও অত্যাধুনিক টেকনোলজি ব্যবহারে মধ্য দিয়ে কমিশনকে যুগোপযোগী করার চেষ্ট চলছে। এজন্য নির্বাচন ও ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের দেশ বিদেশে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখান থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে আপনারা সুষ্ঠু, সুন্দর এবং স্বচ্ছ নির্বাচনে কাজে লাগবেন এটাই আমার প্রত্যাশা।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, গত উপজেলা নির্বাচনে ক্যান্ডিডেট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমস (কেএমএস) ও রেজাল্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমস (আরএমএস) এ দুটি সফটওয়্যারের মাধ্যমে যে কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছিলো তা মূলত পরীক্ষামূলক। এ সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা শেষে একটি সিদ্ধান্তে উপনিত হওয়া গেলে আগামী নির্বাচনে সিএমএস ও আরএমএসের সফটওয়্যারকে পদ্ধতিগতভাবে পুরোদমে কাজে লাগাতে সক্ষম হবো। আর এটি কার্যকর হলে প্রার্থীর মনোনয়নপত্র উত্তোলন, দাখিল, প্রত্যাহার এবং হলপনামাসহ যে কোনো তথ্য আপডেট করার সাথে সাথে তা কমিশনে বসেই দেখা যাবে। ভোট গণনার ফলাফল পাওয়া যাবে ঘোষণার পরপরই। তখন ফলাফল প্রকাশ নিয়ে কালক্ষেপণ করার কোনো সুযোগ থাকবে না।
এসময় তিনি প্রার্থী বাছাই পদ্ধতি ও ফলাফল ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি পুরোপুরি রপ্ত করার জন্য নির্বাচন ও ভোটগ্রহণ কর্মকর্তানের নির্দেশনা দেন। ঢাকা সিটি করপোরেশনের নির্বাচন নিয়ে সাংবাদিকদরে করা এক প্রশ্নের জবাবে কমিশনার জানান, ঢাকা সিটি করপোরেশন প্রসঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, এখানে ডি লিমিটেশনের কাজ এখনো শেষ হয়নি। স্থানীয় সরকার মস্ত্রণালয় এ কাজটি করছেন। তারা কাজটি শেষ করে কমিশনকে জানালে তিন চার মাসের মধ্যেই ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। ইভিএম পদ্ধতির ভোটগ্রহণ নিয়ে তিনি বলেন, পার্শ্ববর্তী দেশে ১৯৮২ সাল থেকে ইভিএম ব্যবহার করে আসছে। আমরা সম্প্রতি ব্যবহার করছি।
তিনি আরো জানান, গত নির্বাচনে কয়েক জায়গায় ইভিএমের ভোট নিয়ে ত্রুটি দেখা দেওয়ায় আপাতত এ পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ বন্ধ রয়েছে। কিন্তু যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তুটি সারিয়ে আগামী নির্বাচনগুলোতে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হবে। নির্বাচন কমিশনার সচিব সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন সহকারী সচিব জেসমিন তুলি, রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার হেলালুদ্দীন আহমদ, রাজশাহী জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী, রাজশাহী আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা সুভাশ চন্দ্র সরকার ও জেলা নির্বাচন কর্মকতা সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।
