
ভারতীয় বাঙালি রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় এসব কথা বলেছেন, বন্ধু প্রতিম রাষ্ট্র বাংলাদেশ যদি জল ও স্থল পথ ব্যবহারের সহযোগিতার হাত না বাড়াতো তাহলে এই ভারী ভারী যন্ত্রপাতি কখনও ত্রিপুরায় আনা সম্ভব হতো না। বাংলাদেশ সরকার বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে বিধায় আজ ত্রিপুরা পালাটানা বিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধন সম্ভব হয়েছে।
এ ধরণের বিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধনের জন্য একটি দেশের রাষ্ট্রপতির প্রয়োজন হয় না। কিন্তু আমি এ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসেছি শুধু আমার পাশ্ববর্তী বন্ধু রাষ্ট্র বাংলাদেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার জন্য।
শুক্রবার সকালে ভারত ত্রিপুরারাজ্যের পালাটানায় বিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তৃতা কালে ভারতীয় বাঙালি রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় এসব কথা বলেন।
ক্রবার দুপুরে ভারতীয় ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া “ন্যাশনাল চ্যানেল আগরতলা” লাইভ প্রচারিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
লাইভ প্রচারিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সূত্রে আরও জানা গেছে, ত্রিপুরারাজ্যে পালাটানার এ বিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপনের কারণে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর শিল্প উদ্যোক্তারা ইতোমধ্যে ত্রিপুরারাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে শুরু করছে।
পালাটানার এ বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে শুধু ত্রিপুরারই নয় উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোও বিদ্যুৎতের চাহিদা পূরণ করা হবে।
বাংলাদেশকে বিদ্যুৎ দেওয়ার ব্যাপারে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে অনুষ্ঠানে ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় তার বক্তৃতায় বলেছেন।
ত্রিপুরারাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী মানিক সরকার তার বক্তৃতায় বলেন, বাংলাদেশ সরকার যদি জল ও স্থল পথ ব্যবহারের সহযোগিতার হাত না বাড়িয়ে দিতেন তাহলে পালাটানার বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভারী ভারী যন্ত্রপাতি বহনকারী ১৪০ চাকার টেইলর কখনও ত্রিপুরারাজ্যে আসতো না ।
আজ যে বিদ্যুৎকেন্দ্রের উদ্বোধন হয়েছে তা কখনও সম্ভব হতো না। বাংলাদেশ সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, আজ পূর্ব ভারতকে রশ্মী দেখালো বাংলাদেশ।
এ সময় তিনি বলেন, আগামী তিন থেকে চার বছরের মধ্যে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যে সার কারখানা গড়ে তোলা হবে। এ সময় ওএনজিসি প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
পালাটানার বিদ্যুৎকেন্দ্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভারত কেন্দ্রীয় সরকারের পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী, ত্রিপুরা রাজ্য পাল, বিধায়কসহ স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।