বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এ বিষয়ে বলেছেন, চাকরিপ্রার্থীদের জামানতের টাকা প্রাইম ব্যাংককে ফেরত দিতেই হবে। অন্যথায় ব্যাংকটির বিরুদ্ধে আরও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর আগে গত ১৪ মে বাংলাদেশ ব্যাংক চাকরিপ্রার্থীদের টাকা ফেরত দিতে ব্যাংকটিকে প্রথম চিঠি দেয়। কিন্তু সর্বশেষ প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী ব্যাংকটি এখনো টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। সর্বশেষ গত ৬ আগস্ট প্রাইম ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং সেবার অনুমোদন বাতিল করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এসময় ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, আপনাদের মনোনিত সলিউশন প্রোভাইডার এসএমজি ইনফোকম লিমিটেডের সংঘটিত অনিয়মের বিষয়ে আপনাদের বক্তব্য বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট গ্রহণযোগ্য নয়। মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেস নীতিমালার অনুসারে প্রদত্ত সেবার অনুমোদন প্রত্যাহার করা হলো।
জানা যায়, ‘ইজি ক্যাশ’ নামে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালুর জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছ থেকে লাইসেন্স নেয় প্রাইম ব্যাংক। পরে এ সেবা বাস্তবায়ন করতে সলিউশন প্রোভাইডার এসএমজি ইনফোকম লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি করে। এরপর প্রতিষ্ঠানটি প্রাইম ব্যাংকের লোগো ব্যবহার করে বিজ্ঞাপন দিয়ে মোটা অংকের জামানত নিয়ে প্রায় দুই হাজার ৫০০ এজেন্ট নিয়োগ করে। ওই প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে জামানত হিসেবে প্রায় ৩০ কোটি টাকা নেয় প্রাইম ব্যাংক।
এরপর উধাও হয়ে যায় প্রতিষ্ঠানটি। ফলে বিপাকে পড়ে আড়াই হাজার এজেন্ট। এসব এজেন্ট প্রাইম ব্যাংকের কাছে গেলে তারা দায়িত্ব নিতে অস্বীকৃতি জানায়। এ অবস্থায় প্রাইম ব্যাংককে এসএমজি ইনফোকম লিমিটেডের এজেন্টদের অর্থ ফেরত দেয়ার নির্দেশ দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে প্রাইম ব্যাংক অর্থ ফেরত না দিয়ে দায় অস্বীকার করে।
এসব কারণে মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেস নীতিমালার ৭ ধারার এক দশমিক অনুচ্ছেদ অনুসারে সেবার অনুমোদন বাতিল করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ বিষয়ে প্রাইম ব্যাংক ব্যবস্থাপনা পরিচালক এহসান খসরুর সঙ্গে যোগাযোগ করেও বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।