আসামিপক্ষের আইনজীবী আব্দুর রাজ্জাক জানান, ম্যাজিস্ট্রেট চার্জ শুনানির তারিখ পিছিয়ে ১৮ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন। ওইদিন ডা. ফখরুদ্দিন মানিককে আদালতে হাজির করতে কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) আইন ২০০২ এর ৪ ও ৫ ধারায় পল্টন থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছিল। এ মামলায় আসামির সংখ্যা ১২৯ জন। মামলাটির উল্লেখযোগ্য দুই আসামি হলেন- ছাত্র শিবিরের সাবেক দুই সভাপতি দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী ও ডা. ফখরুদ্দিন মানিক।
গত বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি প্রায় ৭শ’ জামায়াত-শিবির নেতাকর্মী মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় অভিযুক্ত দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মুক্তি ও আন্তর্জাতিক মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনাল বাতিলের দাবিতে রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরের বিভিন্ন স্থান, দিলকুশা, দৈনিক বাংলা, ফকিরাপুল এলাকায় ভাঙচুর ও গাড়িতে আগুন দিয়ে জনমনে ত্রাস সৃষ্টি করে।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, মতিঝিল থানা এলাকার শাপলা চত্বর, মতিঝিল সিটি সেন্টারের সামনে, মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা, দিলকুশা বাণিজ্যিক এলাকা, দৈনিক বাংলা মোড় ও ফকিরাপুল মোড় এলাকায় অতর্কিতভাবে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্র শিবিরের নেতাকর্মীরা জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মুক্তি দাবিসহ আন্তর্জাতিক মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনাল বাতিলের দাবিতে লাঠি-সোটা, ইট-পাটকেল নিয়ে পুলিশের ওপর চড়াও হয়।
এ সময় তারা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি, জনমনে ভীতি ও আতঙ্ক সৃষ্টির লক্ষ্যে একযোগে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে জঙ্গি মিছিল বের করে পুলিশ হত্যার উদ্দেশ্যে দফায় দফায় ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এছাড়া তারা পুলিশের কর্তব্য কাজে বাধা সৃষ্টি করে, ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও গাড়ি ভাঙচুর করে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ঢাকার পল্টন থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন। একই ঘটনায় মতিঝিল থানায় দায়ের করা একটি মামলায় মঙ্গলবার ১৫৪ জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেছেন একই আদালত।